হুগলি, ২৮ সেপ্টেম্বর:- মারণ ব্যাধি র্যাবিশ ভাইরাসের অ্যান্টিডোড তৈরি করেছিলেন ফরাসি রসায়নবিদ ও মাইক্রোবায়োলজিস্ট লুই পাস্তুর। তার মৃত্যু দিনকে বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস হিসাবে পালন করা হয়। সেই মতন হুগলির চুঁচুড়ায় পশু হাসপাতালে পালন করা হলো বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস। মারণব্যাধি জলাতঙ্ক থেকে বাঁচতে ১৮৮৫ সালে লুই পাস্তুর প্রথম এই ভাইরাসের টিকা আবিষ্কার করেন। যা পরবর্তীতে এক যুগান্তকারি ওষুধ হিসাবে গণ্য হয়। ২০০৭ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এই দিন টিকে ঘোষণা করে বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস হিসাবে। এই বছর ১৭ তম জলাতঙ্ক দিবসে চুঁচুড়ায় ২০০ পথপুকুর বিড়াল জলাতঙ্কের টিকা দেওয়া হয়। প্রগ্রেসিভ ভেটেরিনারি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে এই দিনের কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
সকাল থেকেই কুকুর বিড়ালদের স্বাস্থ্য দেখতে ব্যস্ত ছিলেন পশু চিকিৎসক জয়জিত মিত্র সহ একাধিক চিকিৎসক।তাদের ভ্যাকসিন দেওয়ার পাশাপাশি দেওয়া হয় প্রয়োজনীয় পরামর্শ। নিয়ম করে জলাতঙ্কের টিকা দেওয়া থাকলে কুকুর বিড়াল কামরালেও জলাতঙ্কের ভয় থাকে না। এই বিষয়ে প্রগ্রেসিভ ভেটেরিনারি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য প্রিয়ব্রত চক্রবর্তী জানান, এই দিনের উদ্দেশ্য হল সাধারণ মানুষকে জলাতঙ্ক রোগ নিয়ে সচেতন করা। তিনি আরো বলেন প্রতি বছর গোটা বিশ্বে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ মারা যান এই রোগে। একবার জলাতঙ্ক হয়ে গেলে তখন চিকিৎসকদের আর কিছু করার থাকে না। তবে আগে থেকে সাবধান হলে এর প্রতিকার করা যেতে পারে। বিশেষ করে পথ কুকুর বা বেড়াল দের টিকা করন করে।