এই মুহূর্তে জেলা

অর্থ তছরূপের দায়ে আসানসোল থেকে গ্রেপ্তার হুগলির চিট ফান্ডের কর্তা।

হুগলি, ২৬ সেপ্টেম্বর:- অর্থ তছরুপের ও প্রতারণার দায়ে আসানসোলে সালামপুর থানার অন্তর্গত রূপনারায়ন ফাড়ির ভাড়া বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হল হুগলির অর্থ তছরুপের দায়ে অভিযুক্ত সুব্রত দাস ওরফে শিবু নামক এক ব্যক্তি। প্রশাসন সূত্র থেকে জানা যায় ২০১১ সালের আগে থেকে “হুগলি এগ্রোট‍েক” নামক একটি চিট ফান্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। হুগলি চুঁচুড়া পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের শরৎপল্লীর বাসিন্দা ছিলেন সুব্রত দাস। প্রশাসন সূত্রের খবর ২০১০ সালের আগে তিনি “হুগলি এগ্রোটেক” একটি সংস্থার মাধ্যমে অর্থ তছরূপের দায়ে বাড়িতে কে ফেরার। তারপর পুলিশ বিভিন্নভাবে তাকে সন্ধান করলে কোন রকম ভাবে পুলিশের হাতে আসেনি তিনি। সূত্র মারফত জানা যায় ২০১৮ সালে সিকিউরিটি অ‍্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া(সেবি) তরফ থেকে তার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়।

পুলিশ তাকে তারপর থেকে খোঁজাখুঁজি শুরু করার পরও কোন রকম ভাবে সন্ধান করে উঠতে পারিনি তার। চুঁচুড়া থানার সাব ইন্সপেক্টর অনিমেষ হাজারীর কাছে ৬ মাসের আগে এই ব্যক্তির নামে নির্দেশিকা আসার পর তিনি তৎপরতার সঙ্গে সূত্র মারফত খবর পেয়ে গত ১৬ তারিখ ভোরে আসানসোলের সালেমপুর থানার অন্তর্গত রূপনারায়ণ ফাড়ির একটি ভাড়া বাড়ি থেকে সুব্রত দাস কে গ্রেফতার করে। প্রশাসন সূত্রে খবর প্রায় সাধারণ মানুষের প্রায় ১০০ কোটি টাকা অর্থ তছরুপের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। গত ১৬ তারিখ গ্রেফতার করার পর সেদিনই তাকে চুঁচুড়া আদালতে তোলা হলে আদালতে নির্দেশে সিকিউরিটি অ‍্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া(SEBI) হাতে পরবর্তী তদন্তের জন্য তুলে দেওয়া হয়। প্রশাসনের সূত্রে জানা যায় তিনি অনেকবার পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা তথা কলকাতার ৪ থেকে ৫ জায়গায় বসতি করে বিভিন্ন সময় গা ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করে এসেছেন। সুব্রত দাসের স্ত্রীর নামেও রয়েছে গ্রেফতারি পরোয়ানা।

এখনও তার স্ত্রী পলাতক। তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তারের জন্য খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। ব্যান্ডেল শরৎপল্লীতে বাড়িতে এখন তার বৃদ্ধা মা জানান আমার সঙ্গে কোন যোগাযোগ নেই, আমি এই বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। এই ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন চার নম্বর ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি সঞ্জয় পাল জানান এই ঘটনা শুনে আমি স্তম্ভিত। আমি ওয়ার্ড এর জনপ্রতিনিধি হওয়ার আগে থেকেই তিনি এখানে থাকেন না। স্থানীয় চুঁচুড়া থানার পুলিশ আমার কাছে তার সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা অনেকবারই করেছে, আমি কিছু বলতে পারিনি। এখন সংবাদমাধ্যমের কাছে শুনে আমি হতবাক। সঞ্জয় বাবু জানান আমি তৎকালীন সময় শুনেছিলাম তিনি কোন একটি পাবলিক ফান্ড চালান। কিন্তু এখন বর্তমানে সুব্রত দাস গ্রেপ্তারের পর আমি হতবাক যে তিনি এই সব সাধারণ মানুষের অর্থ প্রতারণার কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।