এই মুহূর্তে জেলা

তৃণমূল কাউন্সিলরকে ফাঁসাতে গিয়ে গ্রেফতার অভিযুক্ত।


হুগলি, ১০ সেপ্টেম্বর:- তৃণমূল কাউন্সিলরকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই হাজতে গেলো অভিযুক্ত। কথায় আছে ‘অতি চালকের গলায় দড়ি।’ সেই কথাই যেন সত্যি হলো এমন এক ঘটনার সাক্ষী রইলেন কোন্নগরের ডিয়লডি এলাকার মানুষরা। কাউন্সিলর কে শায়েস্তা করতে গিয়ে নিজেই ফাঁদে পড়লেন অভিযোগকারী।আদালতের রায় বিকৃত করার জন্য পুলিরের হাতে গ্রেফতার হলেন খোদ অভিযোগকারী।ঘটনাটি হুগলির কোন্নগরের।উত্তরপাড়া থানার পুলিশ অভিযোগকরী গোবিন্দ চৌধুরীর বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। ঘটনার সূত্রপাত একটি দোকান ঘরকে নিয়ে। হুগলির কোন্নগরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুভাশিষ চৌধুরী বছর কয়েক আগে একটি দোকান ঘর ভাড়া নেয় ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের গোবিন্দ চোধুরীর থেকে। সেই দোকান ঘর অবৈধ ভাবে দখল করে রেখে ছিল কাউন্সিলর, এমনটাই অভিযোগ ছিল দোকান মালিকের। এই নিয়ে আইনি টানাপোড়েন চলছিল বেশ কিছুদিন যাবৎ।

এইরকম অবস্থায় ৫ সেপ্টেম্বর দোকানের বাইরে একটি ম্যাজিস্ট্রেটের নোটিশ লাগিয়ে দোকান ঘরে থাকা সমস্ত মালপত্র বাইরে বের করে দেন দোকান মালিক। সেই দিনই পুলিশের কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ দায়ের করেন কাউন্সিলর সুভাশিষ চৌধুরী। কাউন্সিলর সুভাশিষ চৌধুরীর অভিযোগ, যে ম্যাজিস্ট্রেটের অর্ডারকে হাতিয়ার করে দোকান মালিক বলপূর্বক দোকান খালি করেছিল, এবং সেই অর্ডারটির অবৈধ। যে দোকান ঘর খালি করে দেওয়ার কথা হচ্ছিল সেই দোকানের চাবি মাস কয়েক আগেই তিনি হস্তান্তর করেছিলেন দোকান মালিককে। তার পরেও দোকান মালিক গোবিন্দ চৌধুরী জনসমক্ষে তার সম্মানহানী করার জন্য এই পন্থা অবলম্বন করেছেন।পুলিশ সূত্রে খবর, আদালতের যে রায় ছিল তাতে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা ছিল। সেই রায়কে বিকৃত করেন গোবিন্দ চৌধুরী। সেই কারণে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও এই বিষয়ে দোকান মালিক গোবিন্দ চৌধুরীর এবং তার বাড়ির লোকদের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।কিন্তু এভাবে কাউন্সিলরকে কেনো হেনস্তা করতে চাইছে অভিযোগকারী সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।