হুগলি, ৬ সেপ্টেম্বর:- আজ গঠন হল হুগলি জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতি।নটি স্থায়ী সমিতিতে জেলা পরিষদের সদস্যরা ছাড়া থাকবেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিধায়ক সাংসদরা। হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি নির্বাচন হয় গত ১৬ আগস্ট। পুরোনো দলের অভিজ্ঞতায় এগিয়ে থাকা অনেককে পিছনে ফেলে সভাধিপতি হন রঞ্জন ধারা। আজ স্থায়ী সমিতি গঠনের সময়ও ছিল চমক।বলা যায় নতুন মুখেই ভরসা রাখল তৃনমূল। সুবীর মুখার্জি ছাড়া বাকি ৮ জনই কর্মাধ্যক্ষ নতুন মুখ। সুবীর গত বোর্ডের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন এবার তাকে দেওয়া হয় শিক্ষা।
বাকিরা হলেন, জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ দপ্তর তারকেশ্বরের দেবী প্রসাদ রক্ষিত, পূর্ত ও পরিবহন ধনিয়াখালির বিজন বেসরা। কৃষি সেচ ও সমবায়ের দায়িত্বে সিঙ্গুরের মদন মোহন কোলে,শিশু নারী ও জনকল্যাণ দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ হয়েছেন প্রিয়া সাঁতরা, বন ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ বলাগড়ের প্রাক্তন বিধায়ক অসীম মাঝি। খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তর পেয়েছেন জাঙ্গীপাড়ার শামীম আহমেদ। ক্ষুদ্র শিল্প ও বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ হরিপালের নিখিল পাত্র এবং মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ দপ্তরের দায়িত্ত্ব পেলেন চুঁচুড়ার আইনজীবী নির্মাল্য চক্রবর্তী।
এছাড়া এই নতুন দায়িত্ত্ব প্রাপ্ত সদস্যদের পরিচালনার জন্য মেন্টর করা হয়েছে প্রাক্তন সভাধিপতি সেখ মেহবুব রহমান কে। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন কো-মেন্টর ভোলানাথ চ্যাটার্জি। একইসঙ্গে দলনেতা এবং উপাধ্যক্ষ করা হয়েছে দীপ্তি ভট্টাচার্য্য এবং অরুণ কেওড়া কে। এদিন জেলা পরিষদের সভাকক্ষে আয়োজিত সভায় উপস্থিত ছিলেন, সভাধিপতি রঞ্জন ধারা অতিরিক্ত জেলাশাসক জেলা পরিষদ শান্তনু বালা, বিধায়ক অসীমা পাত্র, রামেন্দু সিংহরায়। মেহেবুব রহমান বলেন,
স্থায়ী সমিতি গঠন হয়েছে আজ। দলের নেতৃত্ব জানিয়ে দিয়েছেন কারা কর্মাধ্যক্ষ হবেন। তবে অফিসিয়ালি আগামী ১৪ তারিখে কর্মাধ্যক্ষদের অফিস বন্টন হবে। জেলা পরিষদের প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ গোঘাটের প্রাক্তন বিধায়ক মানস মজুমদার এবার পান্ডুয়া থেকে জেলা পরিষদের আসনে জয়ী হন।তাকে কোনো দপ্তর দেওয়া হয়নি।গত বোর্ডের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন জাঙ্গীপাড়ার সেখ আব্দুল জব্বর। তাকেও এবার কোনো দপ্তর দেওয়া হয়নি। দপ্তর পাননি খানাকুল থেকে জেতা সাহিনা সুলতানা।