কলকাতা, ৬ সেপ্টেম্বর:- রাজ্য মন্ত্রিসভার প্রস্তাবিত রদবদল ব্যহত রাজ্যপালের অসহযোগিতায়। প্রশাসনিক সূত্রে খবর মুখ্যমন্ত্রীর স্পেন যাত্রার আগে মন্ত্রিসভায় রদবদল করা হতে পারে। রাজভবনে প্রয়োজনীয় অনুমোদনের জন্য চিঠিও পাঠানো হয়েছে। সেই চিঠি পাঠানোর পর তিন দিন পেরিয়ে গেলেও নিরুত্তর রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আর তাতেই প্রশাসনিক মহলের ধারণা অন্য আর প্রায় সমস্ত প্রশাসনিক বিষয়ের মতো এবার মন্ত্রিসভার রদবদল নিয়েও রাজভবনের অসহযোগিতা শুরু হয়েছে! যদিও এই নিয়ে সরকার বা রাজভবনের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে সূত্রের খবর, রাজভবনের এহেন ভূমিকা আদৌ ভালো চোখে দেখছে না নবান্ন। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী কাকে মন্ত্রী করবেন, কোন কোন দফতর দেবেন সম্পূর্ণভাবে তাঁর নিজের এক্তিয়ারভুক্ত বিষয়। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্ণ স্বাধীনতা মুখ্যমন্ত্রীর রয়েছে। আর এখানে কোনোভাবেই হস্তক্ষেপ করতে পারেন না রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। কিন্তু রাজ্যপালকে জানানোর পরেও মন্ত্রিসভার রদবদল নিয়ে রাজভবনের নীরব থাকা, অসহযোগিতারই সমান বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সাম্প্রতিক সময়ে উপাচার্য বদল-সহ একাধিক বিষয়ে রাজভবন এবং নবান্নের সংঘাত প্রকাশ্যে এসেছে।
সরাসরি এই নিয়ে মুখ খুলতেও দেখা গিয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শিক্ষা ব্যবস্থায় রাজভবনের হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে অর্থনৈতিক অবরোধের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি৷ পালটা হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গিয়েছে রাজ্যপালকেও৷ এই পরিস্থিতিতে মন্ত্রিসভার রদবদল নিয়ে রাজভবনের ‘উদাসীনতা’ পুরো বিষয়টিকে অন্যমাত্রা দিয়েছে৷ উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ সফরের আগে নবান্নের অন্দরে রদবদল নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। সূত্রের খবর, এবার মন্ত্রিসভার রদবদলে নতুন মুখ সেভাবে না এলেও কয়েকজন মন্ত্রীর দফতর অদলবদল করা হতে পারে। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ সফরের আগে মন্ত্রিসভার রদবদল নিয়ে রাজভবন থেকে কোনও ইতিবাচক উত্তর আসে কি না, সেটাই এখন দেখার। নাকি রাজভবনের উত্তর না পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর মতো করে মন্ত্রীদের দফতর বদল সম্পন্ন করেন, সেটাও এখন দেখার বিষয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেহেতু নতুন মুখ আসছে না, সে ক্ষেত্রে রাজ্যপালের অনুমোদন কিন্তু বাধ্যতামূলক নয়।