এই মুহূর্তে জেলা

ফুরফুরাকে ভাঙ্গড় বানাতে চাইছে বিরোধীরা, ত্বহা সিদ্দিকী।


হুগলি, ১১ আগস্ট:- পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল হুগলি জেলার ফুরফুরা। আর এবার এই ঘটনায় বিস্ফোরক ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকী। বোর্ড গঠনের দিন এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে আইএসএফ দলের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে আহত হন পুলিশ। পঞ্চায়েত ভোটে ২৯টি আসনের মধ্যে ২৪টি আসনে জয় পাওয়ার পরেও তৃণমূলকে বোর্ড গঠন করতে বাধা দেওয়া হয়। যদিও পরে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল। এবার এই প্রসঙ্গে ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকী বিরোধী দলগুলোর দিকেই আঙুল তুলেলন এই ঘটনার জন্য। এদিন পীরজাদা বলেন ফুরফুরা সব সময় শান্তির জায়গা সম্প্রীতির জায়গা। এখানে আগে এসব হয়নি কিন্তু এখন ফুরফুরা শরীফকে ভাঙ্গর বানানোর চেষ্টা করছে কিছু সমাজবিরোধী। নাম না করেই বলেন আইএসএফ বিধায়ক দাবি করেছিলেন যে তার বাড়ির দিকে পাথর ছুঁড়েছে পুলিশ, কিন্তু আসলে ওই দিক থেকে পুলিশের দিকে পাথর ছোড়া হয় প্রথমে, তাই পুলিশ প্রতিরোধ করে। ভাইপো নওশাদ সিদ্দিকীর নাম না করেই ত্বহা সিদ্দিকী বলেন আগে এসব ছিলনা, কিন্তু তাদের পরিবারের কয়েকজন রাজনীতি করতে এসব করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

আর কিছু রাজনৈতিক দল এসব করতে মদত দিচ্ছে। মানুষ উন্নয়নের পক্ষে ভোট দিয়েছে তাহলে যে জিতেছে তাকে বোর্ড গঠন করতে বাধা দেওয়া কেনো। বাংলার মানুষ এখন সব বুঝতে পারছে কারা সাম্প্রদায়িক শক্তিকে সাহায্য করে অশান্তি সৃষ্টি করছে। এদিন পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকী অভিযোগ করেন যেভাবে মনিপুর, হরিয়ানায় হিংসা ছড়ানো হচ্ছে সেরকম পরিকল্পনা বাংলায় করছে সাম্প্রদায়িক কিছু দল। কিন্তু বাংলার মানুষ সব ধর্মের মানুষ সেটা আটকে দেবে। কেন্দ্রে যদি ইন্ডিয়া জোট একসাথে লড়ে তাহলে আগামী লোকসভা ভোটে দেশ থেকে বিজেপি দলের পতন নিশ্চিত বলেও জানান পীরজাদা। এছাড়া জোট নিয়ে বলেন এখন দেখতে হবে শেষ অবধি জোট থেকে কিনা, আর কেউ যদি জোট থেকে বেরিয়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে সেই আসলে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে সাহায্য করতে চাইছে। এদিন পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকী ফুরফুরা নিয়ে হুশিয়ারি দিয়ে বলেন মানুষ বোঝে করা উন্নয়ন করছে আর কারা অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে, তাই শান্ত ফুরফুরা শরীফকে এভাবে অশান্ত করা যাবেনা। আর কই অশান্তির দিন এখানে অনেক পীরের বাড়ি করো বাড়িতে পাথর পড়লোনা কিন্তু একজনের বাড়িতে কেনো পড়লো মানুষ সব বোঝে। তাই বাংলায় দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করলে রুখে দেবে মানুষ।