এই মুহূর্তে জেলা

কাউন্সিলর ও বিধায়ক তরজা তুঙ্গে চুঁচুড়ায়।


হুগলি,৭ ডিসেম্বর:- দলীয় কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে দিনকয়েক আগেই মুখ খুলেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। সেই বিবাদই অব্যাহত রইলো। এবারে কাউন্সিলরের প্রতি ভরসা হারিয়ে বিধায়ক নিজেই কোদাল হাতে নর্দমা পরিষ্কারে নামলেন। অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনাটি হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার। দিনকয়েক আগে এই এলাকাতেই দিদিকে বলো কর্মসূচিতে এসে এলাকাবাসীদের কাছে পরিষেবা না পাওয়ার অভিযোগ শুনে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর সুনীল মালাকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। শুধু এই নয় সেদিনের কর্মসূচিতে সুনীল মালাকার উপস্থিত না থাকায় তাকে এক হাতে নিয়ে বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন সাধারণ মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়ার ভয় তিনি আসেননি।

There is no slider selected or the slider was deleted.

                                                                                                                                                                                                                                                                                                  সেদিনই এলাকাবাসীদের বিধায়ক কথা দিয়ে যান এই এলাকায় এবার থেকে পরিষেবা দেওয়া হবে। সেই মতো আজ ভোর ছ’টা নাগাদ ৩নম্বর ওয়ার্ডের হেমন্ত বসু কলোনি ও স্বামীজি পল্লী এলাকায় গিয়ে উপস্থিত হন বিধায়ক। নিজেই কোদাল হাতে নর্দমা পরিষ্কারে নামেন বিধায়ক অসিত মজুমদার। উপস্থিত ছিলেন পুরসভার সিআইসি পার্থ সাহা সহ অন্যান্যরা। এদিন জঞ্জাল দেখে রিতিমত ক্ষোভ উগরে দিয়ে বিধায়ক বলেন এই ওয়ার্ডে যে কারোর ডেঙ্গু হয়নি তা ঈশ্বরের কৃপা। পাশাপাশি একরাশ ক্ষোভ নিয়ে বিধায়ক বলেন এই ওয়ার্ডে ৩০ জন সাফাই কর্মী রয়েছে তাও কাজ হয়নি।

There is no slider selected or the slider was deleted.

                                                                                                                                                                                                                                                                                         যদি কাউন্সিলর কাজই করতেন তাহলে লোকসভায় এই ওয়ার্ডে আমরা 17০০ভোটে হারতাম না। তবে বিধায়কের সমালোচনা শোনার পর মুখ বন্ধ করে থাকার পাত্র নন কাউন্সিলর সমীর মালাকার। 30 জন লেবার থাকার দাবী উড়িয়ে দিয়ে সুনীল বাবু বলেন পুরসভার সবথেকে বড় ওয়ার্ডে মাত্র ৭জন সাফাই কর্মী। আমি সাড়ে 9 বছরের কাউন্সিলর এই সাড়ে ৯বছরে কমপক্ষে 90 বার আমি পুরো প্রধান ও সিআইসি স্বাস্থ্যকে সাফাই কর্মী বাড়ানোর কথা বলেছি কিন্তু কোন কাজ হয়নি। পাশাপাশি লোকসভায় নিজের ওয়ার্ডে হারা প্রসঙ্গে বিধায়ক কে কটাক্ষ করে সুনীল মালাকার এর বক্তব্য আমি সাড়ে ন’বছরের কাউন্সিলর আর বিধায়ক সাড়ে ৮ বছরের। যে 13 টি ওয়ার্ডে আমরা লোকসভায় হেরেছি বিধায়ক সেই ওয়ার্ড গুলিতে সাড়ে ৮ বছরে যদি একবার করে গিয়েও কোদাল হাতে নর্দমা পরিষ্কার করতেন তাহলে আমরা হারতাম না।

There is no slider selected or the slider was deleted.