কলকাতা,৭ আগস্ট:- রাজ্যের সমস্ত বেসরকারি ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলগুলিতে বাংলা শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। সমস্ত স্কুলে প্রথম বা দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে বাংলা থাকতেই হবে। সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। একইসঙ্গে বেসরকারি স্কুলগুলিকে নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজ্যে কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। জানা গিয়েছে, সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজ্যের শিক্ষানীতি অনুমোদিত হয়েছে। সেখানে জানানো হয়েছে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে উচ্চ প্রাথমিক স্তর থেকে বাংলা এবং ইংরেজি পড়াতেই হবে। বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যমের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। শুধু তাই নয়, তৃতীয় ভাষা হিসেবে যে অঞ্চলে যে ভাষার কার্যকরিতা বেশি সেই অঞ্চলে সেই ভাষা পড়া যাবে। তা হিন্দিও হতে পারে, সাঁওতালিও হতে পারে। রাজ্যে মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্ত মোতাবেক রাজ্যে থাকা সমস্ত ইংরেজি মিডিয়ায় স্কুলে তা শীঘ্রই নির্দেশিকা হিসাবে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। যে স্কুল এই নিয়ম মানবে না তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে রাজ্য সরকার।
বিভিন্ন সংগঠনের তরফে দাবি ছিল, রাজ্য সরকার পরিচালিত বাংলার সব স্কুলে পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা পড়ানো বাধ্যতামূলক করা হোক, সেই সঙ্গে বাংলা পড়ানোর জন্য প্রতিটি স্কুলে দু’জন করে স্থায়ী বাংলার শিক্ষক নিয়োগ করা হোক। বেসরকারি স্কুলের বিরুদ্ধে যে ভুরি ভুরি অভিযোগ ওঠে, সেগুলি শুনবে কমিশন। কমিশনের মাধ্যমে বিশেষ গাইডলাইনও প্রকাশ করা হবে। কমিশনের সদস্যদের নামও শীঘ্রই জানানো হবে। জানা গিয়েছে, সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদিত রাজ্যের শিক্ষানীতিতে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় বাংলা এবং ইংরেজি পড়াতেই হবে। বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যমের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। এছাড়া, বেসরকারি স্কুলগুলিকে নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি শিক্ষা কমিশন গঠন করছে রাজ্য। উল্লেখ্য, প্রায়ই বেসরকারি স্কুলগুলিতে কখনও ফি বৃদ্ধি কখনও আবার সিলেবাস-পরীক্ষা নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। এবার এদিকটা দেখবে শিক্ষা কমিশন। একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি কমিশনের চেয়ারম্যান হবেন। তবে এই কমিশনে বেসরকারি স্কুলগুলিরও প্রতিনিধি থাকবে বলে জানা গিয়েছে।