এই মুহূর্তে জেলা

নির্মীয়মান সেপটিক ট্যাংকে কাজ করতে নেমে মৃত্যু দুই শ্রমিকের।

হুগলি, ৫ আগস্ট:- নির্মীয়মান সেপটিক ট্যাঙ্কে কাজ করতে নেমে মর্মান্তিক মৃত্যু হলো দুই শ্রমিকের। শনিবার সকালে ঘটনাটি কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় সিঙ্গুরের রতনপুর গ্রামের। দমকল কর্মীরা এসে সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার করে দুই শ্রমিকের দেহ। পুলিশ জানিয়েছে মৃতরা হলেন গণেশ মান্না (৪০),বাড়ি সিঙ্গুরে। অপর জন সুব্রত দাস (৪০) বাড়ি ধনিয়াখালি থানা এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এ দিন সকাল ৭ টা নাগাদ সিঙ্গুরের রতনপুর এলাকায় চন্দনা মাইতির বাড়ির নির্মীয়মান সেপটিক ট্যাঙ্কে কাজ করতে আসেন দুই শ্রমিক। প্রায় ২মাস আগে তৈরী হওয়া নতুন সেপটিক ট্যাঙ্কের ঢাকনা খুলে কাঠের ভাড়া খুলতে প্রথমে ভিতরে নামে এক শ্রমিক। সেই শ্রমিকের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে ডাকাডাকিতে প্রচুর লোক জমা হয়। তখন দ্বিতীয় শ্রমিকটি ও নিচে নামে।

কিন্তু ভিতরে দুজনই অচৈতন্য হয়ে পড়ে। খবর দেওয়া হয় দমকল ও পুলিশকে। চাঁপদানি থেকে একটি দমকলের গাড়ি এসে পৌঁছায়। দমকল কর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে সেপটিক ট্যাঙ্কে নেমে দুটি শ্রমিককে উদ্ধার করে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় দুই শ্রমিককে। চন্দনা মাইতি জানান, দু মাস আগে এটি তৈরি হয়েছে, আজকে এসেছিল এনারা এসেছিল ভেতরে কাঠের পাটা খুলতে। কিন্তু একজন ভেতরে নেমে পড়ে যায় তখন উপরে থাকা অন্য শ্রমিক চেঁচামেচি করতে আমি এবং অন্যরা ছুটে আসি। তারপরে অন্য শ্রমিকটা নিচে নেমে আর ওঠেনি। চাপঁদানি দমকল বিভাগের ওসি বলেন, একটি সেপটিক ট্যাংকে কাজ করতে নেমে দুজন অচৈতন্য হয়ে পড়ে আছে খবর পাওয়া পরেই ছুটে এসে দুজনকে উদ্ধার করি। সেপটিক ট্যাংকের ঢাকনা দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণে সম্ভবত ভিতরে মিথেন বা অন্যান্য গ্যাস তৈরি হয়েছিল, সেই কারনেই এই দূর্ঘটনা ঘটেছে।