এই মুহূর্তে জেলা

সিঙ্গুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে টাটাকে ফুল, মালা দিয়ে রাজ্যে আনার প্রতিশ্রুতি শুভেন্দুর।

সিঙ্গুর, ১৮ এপ্রিল:- সেই সিঙ্গুর। যেখান থেকে টাটা গোষ্ঠী এ রাজ্য থেকে মুখ ফিরিয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন এই মাটিই বাম শাসনের অবসান ঘটানোর কেন্দ্র। সেই মাটিতে দাঁড়িয়েই ফুল-মালা দিয়ে টাটাকে বরণ করে নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ দিন সিঙ্গুরের বরা মাঠে দলের হুগলি সাংগঠনিক জেলার উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। যেখানে শুভেন্দুর পাশাপাশি হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, রাজ্য সম্পাদিকা প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল, সম্পাদক দীপঞ্জন গুহ, রাজ্যনেতা স্বপন পাল, জেলা সভাপতি তুষার মজুমদার সহ একগুচ্ছ নেতা উপস্থিত ছিলেন। সভার শুরুতেই শুভেন্দু সিঙ্গুরের টাটা প্রসঙ্গ তোলেন। তাঁর কটাক্ষ, “টাটাকে তাড়াতে মুখ্যমন্ত্রী ক্যাটবেরি-চকোলেট, স্যান্ডউইচ খেয়ে অনশন করছেন।” এরপরেই তিনি বলেন, “কারখানা সরিয়ে তিনি(মুখ্যমন্ত্রী) এই রাজ্যে এলেন

আর বিগত বারো বছরে কেশোরাম রেয়ন, নৈহাটি জুটমিল, গোন্দলপাড়া জুটমিল সহ বিভিন্ন কারখানা বন্ধ করলেন।” সিঙ্গুরের কথা বলতে গিয়ে তিনি জমি আন্দোলনের নেতা হিসেবে পরিচিত বেচারাম মান্নাকেও এক হাত নেন। তাঁর দাবি, সিঙ্গুরের বর্তমান বিধায়ক কারখানা হওয়ার সময় টাটাদের চুন, বালি সরবরাহ করতেন। সাইকেল নিয়ে ঘুরতেন। অথচ এখন এত টাকা তাঁর কাছে চলে এল! কারখানা না হওয়ার জন্য তৃণমূলকে দায়ী করলেও বাম সরকারের জমি নেওয়ার পদ্ধতিও ঠিক ছিল না বলে তিনি জানান। এদিন শুভেন্দু বলেন, “বাংলায় বিজেপি সরকার এসে টাটাকে ফুল-মালা দিয়ে বরণ করে এ রাজ্যে নিয়ে আসবে।”একই সাথে এ দিন চাকরি দুর্নীতি নিয়েও তৃণমূল সরকারকে তুলোধনা করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “বলাগড়ের প্রাক্তন বিধায়ক ও আরামবাগের সাংসদের পরিচিত চাকরি প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছি।”

এরপরেই নাম না ধনেখালির বিধায়ক অসীমা পাত্রকে কটাক্ষ করে বলেন, “ওঁনার (অসীমা) বাড়ির কুকুরকে যে বাথরুম করায় তাঁরও চাকরি করিয়ে দিয়েছেন। আমার কাছে ওঁনার তালিকাও (চাকরি প্রার্থীদের) আছে। সময়ে প্রকাশ করব।”যদিও এবিষয়ে এ দিন কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি অসীমা। অন্যদিকে রাজ্যের দমকল বিভাগেও চাকরি দুর্নীতি হয়েছে বলে জানান বিরোধী দলনেতা। সেখানেও অয়ন শীল জড়িত বলে তিনি দাবি করেন। মঙ্গলবার দিল্লিতে গিয়েছেন তৃণমূল নেতা মুকুল রায়। সেবিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে শুভেন্দু বলেন, “ওঁনাকে (মুকুল) নিয়ে মন্তব্য করব না। তবে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত বড়ঞার বিধায়ক বিজয়কৃষ্ণের বাবা বলছেন আপদ বিদায় হয়েছে। আর শুভ্রাংশু বলছেন, বাবার মাথা ঠিক নেই। কিছুদিন আগে ওঁনাকে হাগিস পরাতাম। কি অবস্থা! জন্মদাতা বাবাকেও ছাড়ছে না।

“এ দিনের ভাষণে তৃণমূলের জাতীয় দলের তকমা চলে যাওয়া নিয়ে শুভেন্দু বলেন, “আমি নির্বাচন কমিশনকে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। যার জেরে সর্বভারতীয় তকমা হারিয়েছে।” পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বলেন, “উনি (মুখ্যমন্ত্রী) বলছেন রাজ্যে একটা কাকা আছে। যিনি খালি অমিত শাহকে অভিযোগ জানান। আমি বলছি, হ্যাঁ আমি অভিযোগ জানাই। চুরি করলে অভিযোগ জানাই।” শুভেন্দুর তোলা অভিযোগ প্রসঙ্গে সিঙ্গুরের বিধায়কও পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। “উনি (শুভেন্দু) তৃণমূলে থাকার সময়ে ভাল ছিলেন। এখন নেশা-ভান করছেন।” পাশাপাশি তিনি চাকরি করতেন। তাই টাটাকে চুন-বালি সরবরাহ করার প্রমাণ করতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন বলে জানান বেচারাম।, ১৮ এপ্রিল:- শুভেন্দুর তোলা অভিযোগ প্রসঙ্গে সিঙ্গুরের বিধায়কও পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। “উনি (শুভেন্দু) তৃণমূলে থাকার সময়ে ভাল ছিলেন। এখন নেশা-ভান করছেন।” পাশাপাশি তিনি চাকরি করতেন। তাই টাটাকে চুন-বালি সরবরাহ করার প্রমাণ করতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন বলে জানান বেচারাম।