এই মুহূর্তে কলকাতা

স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে ওঠা অভিযোগ নিরসনে উন্নত প্রযুক্তি চালু করছে সরকার।

কলকাতা, ১৯ জুলাই:- স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে ওঠা বিভিন্ন অভাব অভিযোগ নীরসনে রাজ্য সরকার প্রযুক্তি নির্ভর ব্য়বস্থা চালু করছে করছে। এবার থেকে যদি এক বছরে বেসরকারি যেকোনও হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড প্রসঙ্গে অনিয়মের ১০ টি অভিযোগ আসে, তবে ওই হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী সংক্রান্ত সমস্ত পরিষেবা স্বয়ংক্রিয় ভাবে ব্লক হয়ে যাবে৷ পাশাপাশি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে মোটা অংকের জরিমানাও করা হবে। এজন্য স্বাস্থ্যসাথীর নিয়ন্ত্রক সফটওয়্যারে প্রয়োজনীয় রদবদল করা হচ্ছে। ওই সফটওয়ারে স্বাস্থ্য সাথী সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য নথিভুক্ত করা থাকে। ফলে এই ধরনের অভিযোগ সহজে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। স্বাস্থ্য দফতর থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে একথা জানানো হয়েছে।

তাছাড়া যদি কোনও চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা হয়, তাহলে ওই চিকিৎসক স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় কোনও চিকিৎসা করতে পারবেন না বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। ত্রুটিকে তিন রঙে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্যভবনের তরফে। প্রথমটি লাল ও তারপরে হলুদ এবং সবুজ। লাল হল গুরুতর ত্রুটি। হলুদ ব্যবহার হবে মাঝারি ধরনের কোনও অভিযোগ থাকলে। আর যাদের বিরুদ্ধে খুব কম ত্রুটি ধরা পড়বে, তাদের জন্য ব্যবহার হবে সবুজ।

স্বাস্থ্যভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, যদি কোনও বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোম রোগীর চিকিৎসায় যে পরিমাণ খরচ হয়েছে, তাকে বিকৃত করে নিজের মনগড়া খরচ দেখায়, রোগীর ভর্তি ও ছাড়া পাওয়ার দিন বদলে দেয়, তাহলেই এই ধরনের রং ব্যবহার করে তাদেরকে চিহ্নিত করা হবে। এই তিন রং হিসাবে তাদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের পরিষেবা বন্ধ ও আর্থিক জরিমানা বরাদ্দ করা হবে৷ উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য দফতর নতুন সফটওয়‌্যার তৈরি করেছে। অন্তত দু’হাজার বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমকে যুক্ত করা হয়েছে সেখানে। পাশাপাশি প্রায় 200 সরকারি চিকিত্‍সককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলির ভুল-ত্রুটি ধরবে। সর্তক করবে। সম্প্রতি এই নিয়ে ‘স্ট‌্যার্ন্ডাড অপারেটিভ প্রসিডিওর’ বা এসওপি প্রকাশ করেছে স্বাস্থ‌্য দফতর। এসওপি অনুযায়ী, প্রায় 200 সরকারি চিকিত্‍সককে ভার্চুয়াল প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে৷