কলকাতা, ১৫ জুলাই:- সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহৃত স্কুল ভবনের ক্ষয়ক্ষতি দ্রুত পূরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে রাজ্যের শিক্ষা দফতর সমস্ত জেলার স্কুল স্কুল ইন্সপেক্টরদের কাছে তাদের জেলায় ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট তলব করে। সেই রিপোর্টে মোট ৩৬ লক্ষ ৫৭ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতির হিসাব দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে কোনও স্কুলের ক্ষয়ক্ষতি হলে দ্রুত ক্ষতিপূরণ দেওয়া র সংস্থান রয়েছে। যাতে ভোটের কারণে স্কুল পড়ুয়াদের পঠনপাঠনে ক্ষতি না হয়। শিক্ষাদফতর মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে সেই রিপোর্ট পাঠিয়ে দ্রুত ক্ষতিপূরণের আর্জি জানিয়েছে। নবান্ন সূত্রের খবর ওই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে তা নির্বাচন কমিশনের কাছে পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য পাঠানো হবে। কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে অবিলম্বে ক্ষতিগ্রস্ত স্কুলগুলি মেরামত করে পুনরায় চালু করতে হবে। বুধবার বিচার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে।
হাইকোর্টের নির্দেশ ওই সমস্ত স্কুল বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি মেরামতির খরচ বহন করতে হবে রাজ্য সরকারকে।এর জন্য দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির তথ্য জোগাড় করার জন্য রাজ্য সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শিক্ষক শিক্ষিকাদের একটা অংশের বক্তব্য, নির্বাচনের কাজে বেশিরভাগ স্কুল মাদ্রাসা ও কলেজগুলিকে ব্যবহার করা হয়। নির্বাচনের সময় পঠনপাঠন বন্ধ রেখে ভোটগ্রহণ চলে। ভোট পর্ব মিটতেই আবার এগুলি খুলে যায়। কিন্তু, ভোট গ্রহণ পর্বে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে স্কুলের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে। এবার পঞ্চায়েত ভোটে সবচেয়ে অশান্ত ছিল মুর্শিদাবাদ জেলা। সেই জেলার ভোট কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহৃত স্কুলগুলিতেই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। মুর্শিদাবাদ জেলার ১৩৫ টি স্কুলে ভাঙচুর হয়েছে বলে শিক্ষা দফতরের রিপোর্টে উল্লেখ। মুর্শিদাবাদের পর সবচেয়ে বেশি ভাঙচুর হয়েছে উত্তর দিনাজপুরে। সেখানে ২৮টি স্কুলে ভাঙচুর হয়েছে। মালদহে ২০টি, কোচবিহারে ১০টি ও হাওড়ার কিছু স্কুলে ভাঙচুর হয়েছে।