এই মুহূর্তে জেলা

নিরীহ মানুষদের শ্লীলতাহানির মামলায় ফাঁসিয়ে টাকা হাতানোর ফাঁদ, গ্রেপ্তার আইনজীবী।

প্রদীপ বসু, ১৪ জুলাই:- নিরীহদের পকসো শ্লীলতাহানীর মত মামলায় ফাঁসিয়ে টাকা হাতানোর ফাঁদ! গ্রেফতার চন্দননগরের আইনজীবী উজ্জ্বল চক্রবর্তী। শ্রীরামপুর আদালতে পেশ করা হলে চারদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। পুলিশ সূত্রে খবর, মহিলাদের দিয়ে পকসো শ্লীলতাহানীর মত অভিযোগে ফাঁসিয়ে টাকা হাতাতো একটি চক্র। সেই চক্রের মাথা ছিলেন চন্দননগর আদালতের আইনজীবী উজ্জ্বল চক্রবর্তী। অনেক নিরীহ মানুষ এই চক্রের ফাঁদে পরেন। এরকমই এক ভুক্তভোগীর হয়ে মামলা করেন শ্রীরামপুর আদালতের আইনজীবী অভিজিৎ লায়েক। গতবছর ১০ মে চন্দননগর আদালতে মামলা করতে এলে অভিজিৎ লায়েককে হেনস্থা ও মারধর করা হয় বলে। অভিজিৎ বাবুর অভিযোগ তার উত্তর পাড়ার বাড়িতে গিয়েও হেনস্থা ও মামলা থেকে সরে যাওয়ার হুমকি দিয়ে আসে উজ্বলের পাঠানো গুন্ডারা। এরপর শ্রীরামপুর আদালতে মামলা করেন অভিজিৎ লায়েক। শ্রীরামপুর আদালতের এসিজেএম সেই অভিযোগে আমল দেন।

তারপর চন্দননগর পুলিশের এসিপি ২ কে অভিযোগের সত্যতা অনুসন্ধান করতে বলেন।এসিপি ২ খতিয়ে দেখে অভিযোগ সত্যি বলে রিপোর্ট দেন।এরপর অভিযুক্ত আইনজীবী উজ্জ্বল চক্রবর্তীকে আদালতে হাজিরা দিতে সমন পাঠানো হয়। আইনজীবী হাজিরা দেননি। তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট বের হয়। আজ চন্দননগর পালপাড়া থেকে আইনজীবীকে গ্রেফতার করে শ্রীরামপুর আদালতে পেশ করা হয়। আদালত তাকে চারদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। মামলাকারি শ্রীরামপুর আদালতের আইনজীবী অভিজিৎ লায়েক বলেন, উজ্জ্বল চক্রবর্তীর হেলনে চন্দননগরে দীর্ঘদিন ধরে একটা চক্র চলছে। উনি ওনার কয়েকজন বান্ধবীকে দিয়ে নিরীহ মানুষদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসান। চন্দননগর এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার অনেক মানুষ এই চক্রের শিকার। আমার কাছে যা তথ্য আছে এখনো পর্যন্ত ৪ লাখ টাকার উপর তোলা হয়েছে। জানা নেই এমন কত টাকা তুলেছেন সেটা জানা নেই। এক ভুক্তভোগীর হয়ে চন্দননগর আদালতে মামলা করতে এলে আমাকে হেনস্তাও মারধর করে ওই আইনজীবী। আমার বাড়িতে গিয়ে আমার স্ত্রীকে হুমকি দেওয়া হয়। এরপর আমি শ্রীরামপুর আদালতের দ্বারস্থ হই। আইন অনুযায়ী বিচার হোক এটাই চাই।