কলকাতা, ১৪ জুন:- দীর্ঘ গরমের ছুটির পর বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্যের সব সরকারি স্কুল খুলতে চলেছে। স্কুল খোলার আগে জেলা শিক্ষা আধিকারিকদের উদ্দ্যেশ্যে নির্দেশিকা দিয়ে সরকারি এবং সরকার পোষিত বিদ্যালয়েগুলিতে স্কুল খোলার সঙ্গে সঙ্গেই সিলেবাস শেষ করতে অতিরিক্ত ক্লাস করানোর জন্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদ নির্দেশিকা জারি করেছে। এছাড়া দীর্ঘ ছুটির পরে স্কুল খুলতে চলেছে, তার জন্য সরকারের তরফে একাধিক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, স্কুলগুলির চারপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে হবে। যাতে বিভিন্ন মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া আটকানো সম্ভব হয়। স্কুল চত্বরের মধ্যে কোথাও যেন কোনো জঞ্জাল ময়লা জমে না থাকে। স্কুল চত্বরে যেন জল জমার মত কোনো পরিস্থিতি তৈরি না হয়। এছাড়াও শিক্ষা দপ্তরের তরফে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ছাত্র-ছাত্রীদের স্বার্থে স্কুল কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত নেবেন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তা অবশ্যই মানতে হবে। পাশাপাশি বিজ্ঞপ্তিতে প্রধানশিক্ষকদের অনুরোধ করা হয়েছে পঞ্চায়েত ভোটে সহযোগিতা করার জন্য। যা নিয়ে সরকার বিরোধী শিক্ষক সংগঠনগুলি আপত্তি তুলেছে।
গত ২ মে থেকে গরমের ছুটি শুরু হয়। গত সপ্তাহে স্কুল খোলার বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য শিক্ষা দফতর। খোলার আগে স্কুলকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাখা, মিড ডে মিল পরিষেবা চালুর প্রস্তুতি-সহ বিভিন্ন নির্দেশ দেয় বিজ্ঞপ্তিতে। ঠিক তারপরই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণা করা হয়। এরপর জেলা শিক্ষক আধিকারিকদের দফতর থেকে আরও একটি বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয় স্কুলের প্রধানশিক্ষকদের। যেখানে প্রধানশিক্ষকদের অনুরোধ করা হয়েছে ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতা করতে।জেলা শিক্ষা আধিকারিকদের দফতর থেকে স্কুলের প্রধানশিক্ষকদের কাছে এই অনুরোধ গিয়েছে যে তারা যাতে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতা করেন। গত সপ্তাহে স্কুল খোলার বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য শিক্ষা দফতর। স্বাভাবিকভাবেই সেই বিজ্ঞপ্তিতে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে কোনও নির্দেশ বা অনুরোধ ছিল না সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের জন্য কারণ তখন পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণাই হয়নি। তবে নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলে তাতে এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, রিটার্নিং অফিসাররা যে ভোট প্রস্তুতির কাজ শুরু করবেন তার জন্যই কাজে লাগবে স্কুলগুলি। আর সে জন্যই এই নির্দেশ।