এই মুহূর্তে জেলা

বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক মৃত্যু হুগলির সুনীতি রাওয়ের।

হুগলি, ৫ জুন:- বালেশ্বরে ট্রেন দূর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে হুগলির বাসিন্দা সুনীতি রাও (২৫) এর। উড়িষ্যার ভদ্রক থেকে ব্যাঙ্গালোর হাওড়া এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন যুবতী। করমন্ডলের সঙ্গে দূর্ঘটনায় পরে সেই ট্রেন। যুবতীর স্বামী রহিত রাও এর সঙ্গে ভদ্রকে এক বন্ধুর বিয়েবাড়ি গিয়েছিলেন। ভদ্রকেই তাদের বাড়ি তৈরী হচ্ছে।সেই কাজ দেখা শোনার জন্য রহিত সেখানে থেকে যান।যুবতী একাই ট্রেনে করে হাওড়া ফিরছিলেন। মর্মান্তিক দূর্ঘটনায় তার প্রাণ কেরে নেয়। গতকাল তার আত্মীয় পরিজনরা বালেশ্বরে পৌঁছে দেহ শনাক্ত করেন। সেখানেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। জানা গেছে শ্রীরামপুর চাতরা এলাকায় অপর্না রাও এর সঙ্গে থাকতেন সুনিতা। বছর দেরেক আগে এক বন্ধুর বিয়ে বাড়িতে গিয়ে রহিতের সঙ্গে তার পরিচয়। তারপর দুজনে বিয়ে করেন। কোন্নগর কানাইপুর বাসাইতে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন।

ভদ্রকে নতুন বাড়ি তৈরী হচ্ছে সেখানেই দুজনে স্থায়ী ভাবে থাকার পরিকল্পনা ছিল। তার আগেই মর্মান্তিক ট্রেন দূর্ঘটনা সব স্বপ্ন শেষ করে দিল। রিষড়া বাগখালে মারেয়ারী ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ ছিল। অ্যাসোসিয়েশানের কর্মকর্তা প্রাক্তন তৃনমূল কাউন্সিলর অশোক দেওটিয়া বলেন, আনন্দ রাও আমার কাছে কাজ করেন। আনন্দ সুনিতার মাসির ছেলে। ওর থেকে জানতে পেরে আমরা রিষড়া পুরসভার চেয়ারম্যান রিষড়া থানার সঙ্গে কথা বলি। তারা সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেন। মৃতদেহ নিয়ে আসতে চাইলে সব রকম ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে বলে জানান তারা। উড়িষ্যার মারোয়ারী সোসাইটি শাখার সাহায্য দেহ সৎকার হয়েছে। সুনিতার মা এখন ব্যাঙ্গালোরে থাকেন।বিয়ের পর থেকে সুনিতা কানাইপুর থাকত। ভদ্রকে যাতায়াত করত।