এই মুহূর্তে কলকাতা

কুড়মি সমস্যা নিয়ে জঙ্গলমহলের আদিবাসী মন্ত্রী বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর।

কলকাতা, ১৭ মে:- কুড়মিদের সংরক্ষণ দেওয়ার জন্য কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ করেছে রাজ্য সরকার। তাঁদের প্রতি সহানভূতিশীল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর হস্তক্ষেপে ধ্বংসাত্মক আন্দোলনের পথ থেকে সরে এসেছেন কুড়মিরা। এর মধ্যেই বুধবার কুড়মি সমস্যা নিয়ে জঙ্গলমহলের আদিবাসী মন্ত্রী-বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে ডাকা হল কুড়মি নেতাদেরও। সূত্রের খবর কুড়মি সমাজের বিভিন্ন সমস্যার কথা জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। জঙ্গলমহলের আদিবাসী ভোট তৃণমূলের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মাঝেমধ্যেই জঙ্গলমহলের বিভিন্ন জায়গা থেকে রাজ্যের বিরুদ্ধে অসন্তোষের কথা শোনা যায়। তাই সেদিক থেকে দেখতে গেলে নবান্নে এদিনের বৈঠকও রাজনৈতিকভাবে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। বৈঠকে কুড়মি সমাজের পক্ষে বৈঠকে ছিলেন শুভেন্দু মাহাতো, সুনীল মাহাতো ও বিজয় মাহাতো। এছাড়াও দুই তৃণমূল বিধায়ক শান্তিরাম মাহাতো ও সুশান্ত মাহাতো এবং ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়ার তৃণমূল নেতৃত্ব ছিলেন। কুড়মিদের প্রধান দাবি হল তাদের তপলিসি উপজাতির মর্যাদা দিতে হবে।

রাজ্য সরকারের বক্তব্য হল কুড়মিদের তপসিলি উপজাতির মধ্যে ফেলার সুপারিশ রাজ্য করতেই পারে। কিন্তু তা শেষপর্যন্ত কার্যকর হবে কিনা তা একেবারেই কেন্দ্রের বিষয়। অর্থাত্ রাজ্যে সরকার যে কুড়মিদের পাশেই রয়েছে সেই বার্তাই কুড়মি নেতাদের দেওয়া হয়েছে বলে খবর প্রশাসনিক সূত্রের। এদিকে, পূর্ব ঘোষণা মতো এদিন খড়গপুরে দিলীপ ঘোষের বাংলোয় গিয়ে বিক্ষোভ দেখান কুড়মিরা। গন্ডগোলের সূত্রপাত দিলীপ ঘোষের একটি মন্তব্যকে ঘিরে। কুড়মি নেতাদের দাবি, কুড়মি আন্দোলেন টাকা দিয়ে সাহায্য করেছেন এমনটাই দাবি করেছেন দিলীপ ঘোষ। কুড়মিরা কারও কাছ থেকে কোনও সাহায়্য নেয়নি। দিলীপ ঘোষকে বলতে হবে কাকে তিনি সাহায্য করেছেন।

তা না হলে তাঁর বাড়িতে যাবে কুড়মিরা। ঘোষণা মতো এদিন সকালে খড়গপুরে দিলীপ ঘোষের রেলওয়ে বাংলোর সামনে জমায়েত করেন কুড়মিরা। এরপর গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়েন তাঁরা। শুধু তাই নয়, বাংলোর বাইরে বেশ কিছু জিনিসও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর যখন পুলিস যখন বিক্ষোভকারীদের বাংলোর বাইরে বের করে দেয়, তখন রাস্তা আটকে শুরু হয় বিক্ষোভ। কুড়মি নেতা অজিত মাহাত বলেন, ‘কুড়মি জাতির কোনও একজন বা দু’জন ব্যক্তি চুরি করতে পারে, ধোকা দিতে পারে। কিন্তু কুড়মি জাতির কথা কেন বলল? যাঁরা করেছে, তার বিরুদ্ধে মুখোশ খুলুক। আমাদের কিছু বলার নেই। কুড়মি জাতি স্বভিমানে আঘাত। আমরা বলছি, প্রকাশ্য়েই ক্ষমা চাইতে হবে’।