এই মুহূর্তে কলকাতা

হাইকোর্টের নির্দেশে প্রাথমিকে চাকরি হারানো শিক্ষকদের পাশে থাকবে সরকার, আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর।

কলকাতা, ১৫ মে:- কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে প্রাথমিকে চাকরি হারানো ৩৬ হাজার শিক্ষকের পাশে থাকবে রাজ্য সরকার। সম্পূর্ণ সহানুভূতির সঙ্গে চাকরি হারা ২ লক্ষ পরিবারের সঙ্গে থাকবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নে এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, এব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছে।

সাংবাদিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট বলেন, তাঁর কাছে খবর আসছে, হাইকোর্টের ওই নির্দেশের পর অনেকে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ছেন। চাকরি হারাদের পরিবারের লোক যোগ করলে সংখ্যাটা প্রায় দু’লক্ষ। তাঁরাও বিপন্ন বোধ করছেন। এ হেন পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, “ইতিমধ্যেই ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সরকার আপনাদের পাশে আছে। হতাশ হবেন না। মন খারাপ করবেন না” গত শুক্রবার ২০১৬ সালে নিয়োগ হওয়া ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। যদিও সোমবার জানা গিয়েছে সংখ্যাটা ৩৬ হাজার নয়। ৩০ হাজারের আশপাশে। ওটা আদালতের নির্দেশনামায় ছাপার ভুল ছিল।

কিন্তু তাহলেও সংখ্যাটা বিরাট এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই। এদিন মুখ্যমন্ত্রী চাকরি হারাদের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে বলেন, ‘সেই সময়ে নিয়ম ছিল যাঁরা নিয়োগ পাবেন তাঁদের যদি প্রশিক্ষণ নেওয়া নাও থাকে তাহলে তাঁরা এক বছরের কোর্স করে নেবেন। যাঁদের চাকরি গেছে তাঁদের সবার প্রশিক্ষণ নেওয়া আছে।যে যে পয়েন্ট নিয়ে আদালত বলেছে সেসব নিয়ে আমাদের আইনজীবীরা ডিভিশন বেঞ্চে যা বলার বলবে।

তাই আমি এখন কিছু বলছি না।’ ডি এ নিয়ে আন্দোলনকারী কর্মীদের এই চাকরি যাওয়ার পিছনে ভূমিকা রয়েছে বলে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘একদিকে একদল সরকারি কর্মচারী ডিএ-এর দাবি করছেন। আর ৩৬ হাজারের চাকরি গেলে তাঁরা কিছু বলছেন না। এইসবের জন্য অনেক নিয়োগ আটকে রয়েছে।’ সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,, ‘আমরা মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে চলি। দানবিক নয়।’