এই মুহূর্তে জেলা

সিঙ্গুরে গাঁজা পাচারের অভিযোগে এক মহিলা সহ ধৃত তিনজন, আটক গাঁজা ভর্তি গাড়ি।

হুগলি, ২২ এপ্রিল:- গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গাঁজা ভর্তি চারচাকা গাড়ি বাজেয়াপ্ত করল হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশের সিঙ্গুর থানা। গাঁজা পাচারের অভিযোগে গ্ৰেফতার করা হয়েছে এক মহিলা সহ তিনজনকে। উদ্ধার হয়েছে ৮৭ প্যাকেট গাঁজা।যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৬ লক্ষ টাকা। ধৃতদের বাড়ি ভদ্রেশ্বর ও চন্দন নগর এলাকায় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। শুক্রবার রাতে হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় নাকা তল্লাশি শুরু করে। সিঙ্গুর থানা থেকে ১০০ মিটার দূরে সিঙ্গুর বিডিও অফিস এলাকায় একটি গাড়িকে সন্দেহ হওয়ায় দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। গাড়িতে থাকা তিনজনের কথায় অসংগতি ধরা পরতে সন্দেহ বাড়ে। পুলিশ গাড়িটি তল্লাশি শুরু করে। গাড়ির সিটের পিছনে লুকানো ছিল ৮৭ প্যাকেট গাঁজা। প্রত্যেকটি প্যাকেটে প্রায় এক কিলো করে গাঁজা আছে বলে জানা গেছে, যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ছয় লক্ষ টাকা।

ঘটনায় গাড়িতে থাকা তিনজনকেই গ্ৰেফতার করেছে পুলিশ। হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশের ডি এস পি আফজল আবরার জানান, পাচারকারীরা উড়িষ্যার তাজপুর জেলা থেকে গাঁজা নিয়ে আসছিল‌,চন্দননগরে কোন এক ব্যক্তিকে তা সরবরাহ করার কথা ছিল। পাচারকারীরা অত্যন্ত সতর্কতার সাথে জাতীয় সড়ক এড়িয়ে গিয়ে বিভিন্ন গ্রামীণ রাস্তা ধরে আসছিল যাতে পুলিশের নজর এড়ানো যায়। গাড়িটি চন্ডীতলার আঁইয়া, শিয়াখালা, বনমালীপুর, বাসুবাটি হয়ে যখন সিঙ্গুরে ঢোকে তখনই গাড়িটিকে আটক করে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। তারপরেই গাঁজা পাচারের পর্দা ফাঁস হয়। গাঁজা পাচারকারী তিনজনেরই বাড়ি চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বর এলাকায়। গ্ৰেফতার হওয়া তিনজন এত পরিমান গাঁজা কাদের সরবরাহ করতো এবং এই চক্রের সাথে আর কারা কারা যুক্ত আছে তা তদন্ত করে দেখছেন পুলিশ আধিকারিকরা। সেই সাথে যে গাড়িটি করে গাঁজা পাচার করা হচ্ছিল সেই গাড়িটি কোথাকার, তার মালিক কে তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।