এই মুহূর্তে জেলা

হাওড়ায় জল ‘চুরি’ রুখতে পুলিশ প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে পুরপ্রশাসক নামলেন পথে।

হাওড়া, ১২ এপ্রিল:– হাওড়ায় জল ‘চুরি’ রুখতে এবার সতর্ক হলো পুরসভা। বুধবার পুর প্রশাসক পুলিশ প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে নিজেই নামেন পথে। অভিযোগ, হাওড়ার শিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ২২ নং ওয়ার্ড ও ৪৯ নং ওয়ার্ড এর সংযোগস্থলে ইছাপুর শানপুর অঞ্চলে হাওড়া পুরনিগমের পদ্মপুকুর জলপ্রকল্পের ভূগর্ভস্থ পাইপলাইনে অবৈধ সংযোগে প্রতিদিন পানীয় জল চুরি করে তা ব্যবসায়িক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনকি সেই পানীয় জল বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়েই বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে ছুটে যান পুরনিগমের মুখ্য প্রশাসক ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী।
পুরনিগমের শীর্ষ আধিকারিকরা সহ নিকটবর্তী থানার পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়েই এই অভিযান করা হয়। এই জল চুরির অপকর্ম এদিন সরোজমিনে খতিয়ে দেখা হয়। এই অভিযান পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ আসছিল। তার সত্যতা যাচাই করার জন্যই এদিনের এই অভিযান। এই অভিযানে হাওড়া পুরনিগমের পক্ষ থেকে সকল অধিকারিক এখানে এসেছেন।

সঙ্গে ছিলেন এসিপি সাউথ, স্থানীয় থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। এছাড়া এই এলাকার পার্শ্ববর্তী ২টো ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলাররা উপস্থিত ছিলেন। এখানে এসে দেখা গেল পুরনিগমের সরবরাহকৃত জলের অপচয় হচ্ছে এবং তার পাশাপাশি জল চুরি হচ্ছে। সেগুলো দ্রুত ঠিক করার জন্য জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ওয়ার্ডের মানুষের যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমাদের কাছে বারেবারে অভিযোগ আসছিল ব্যবসায়িক কাজে এই জল চুরি করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এটাকে বন্ধ করতে হবে। সাধারণ মানুষ যাতে জলের সমস্যা থেকে মুক্ত হন সেই দিকটা বজায় রেখে অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করা হবে। এই ব্যাপারে যৌথভাবে পরিদর্শন এবং বৈঠক করা হয়েছে। এই ব্যাপারে মানুষকে সজাগ থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। তাঁদের আবেদন করা হয়েছে যদি এমন কোনও কার্যকলাপ কেউ দেখেন তাঁরা যেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পুরনিগমকে জানান। এইজন্য এখানে পুরনিগমের পক্ষ থেকে ফ্লেক্স লাগানো হবে, প্রচার করা হবে। পুলিশের পক্ষ থেকেও সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এই পদক্ষেপ নেওয়া হলে দীর্ঘদিনের যে জলচুরির অভিযোগ আসছিল তা বন্ধ করা সম্ভব হবে। এটা হলে সার্বিকভাবে এলাকার সাধারণ মানুষও উপকৃত হবেন।