এই মুহূর্তে কলকাতা

তদন্তের নামে শাসকদলকে হেনস্থা এজেন্সির, নিন্দা করে সরকার পক্ষের আনা প্রস্তাব গৃহীত বিধানসভায়।

কলকাতা, ১৩ মার্চ:- রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার হাতিয়ার হিসাবে সিবিআই, ইডির মত কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার করছে মোদি সরকার। চাইছে তৃণমূল কংগ্রেসের মত বিরোধীদের উৎখাত করতে। তদন্তের নামে রাজ্যের শাসক দলের নেতাদের হেনস্থা আর তাদের জনসমক্ষে হেও প্রতিপন্ন করায় এখন প্রধান লক্ষ্য ওইসব কেন্দ্রীয় এজেন্সির। সোমবার বিধানসভায় বর্ধিত বাজেট অধিবেশনের শেষ দিনে কেন্দ্রীয় এজেন্সি গুলির এই আচরণে নিন্দা করে সরকার পক্ষের আনা একটি প্রস্তাব আলোচনার পরে গৃহীত হয়েছে। প্রস্তাব এনে কেন্দ্রীয় এজেন্সি গুলিকে বিজেপি কিভাবে দলদাসে পরিণত করেছে তার উদাহরণ দিতে গিয়ে সরকার পক্ষের উপমুখ্য সচেতক তাপস রায় গত ১০ মার্চের ঘটনার কথা উল্লেখ করেন। ঐদিন অধিবেশন চলাকালীন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যেভাবে মন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে এজেন্সি ব্যবহার করে এক মাসের মধ্যে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন তার নিন্দা করেন তাপস রায়।

তিনি বলেন, রাজ্যের এক মন্ত্রীকে বিরোধী দলনেতা বলেন একমাসের মধ্যে জেলে ঢুকিয়ে দেবো। এর থেকেই বোঝা যায় নিরপেক্ষ সংস্হা একটা দলের দাসে পরিনত হয়েছে। পিএম কেয়ার্সে দূর্নীতি এবং ঋন দেওয়ার নাম করে কিভাবে দেশের সাধারন মানুষের টাকা লুঠ করা হয়েছে সে কথাও তিনি তুলে ধরেন। তাপস বাবুর আশঙ্কা আগামী বছরে লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি বিভিন্ন কেন্দ্রীয় এজেন্সি কে ব্যবহার করে বিরোধীদের উপরে আরও অত্যাচার বাড়াবে। তিনি অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যাপাধ্যায়ের কাছে শাসক ও বিরোধী সব বিধায়কদের সুরক্ষায় আরও বেশি করে নিরাপত্তা দেওয়ার দাবি জানান। বিরোধীশূন্য বিধানসভায় অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ইডি, সিবিআই এর মত কেন্দ্রীয় সংস্থার গোপন রিপোর্ট বিরোধী দলের নেতাদের হাতে চলে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, সত্যর সন্ধানের জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের বিব্রত করাটাই এখন ইডি সিবিআই এর উদ্দেশ্য। এই বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেওয়ার মত সাহস বিরোধীদের নেই। আলোচনা শেষে অধ্যক্ষ বিমান বন্দোপাধ্যায় বিরোধী দলনেতার সেদিনের আচরণের নিন্দা করেন। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় এজেন্সি যদি বিধানসভার কোন সদস্যর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে চায় তবে পরিষদীয় নিয়ম মেনে তার আগে তার সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।