এই মুহূর্তে জেলা

ব্যারাকপুরে বিজেপি নেতাকে খুনের প্রতিবাদে চলছে বনধ , মৃতের বাড়িতে কৈলাস , মুকুল। সিবিআই তদন্তের দাবী ।

উঃ২৪পরগনা , ৫ অক্টোবর:- রবিবার হাওড়ার এক দলীয় সভা ও মিছিলে গিয়েছিলেন পেশায় আইনজীবী ও বিজেপি–র ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সদস্য মণীশ শুক্লা। সেখান থেকে এদিন সন্ধ্যায় ফিরে টিটাগড় থানার পাশে বিটি রোডের ওপর দলীয় কার্যালয়ে ঢুকছিলেন তিনি। এমন সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় মোটরবাইকে আসা দুষ্কৃতীরা। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, খুব কাছ থেকে তাঁকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। সঙ্গে সঙ্গে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে টিটাগড়ের এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাঁকে স্থানান্তর করা হয়েছে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে।

সেখানেই তার মৃত্যু হয়। অন্যদিকে, এই খুনের প্রতিবাদে এলাকায় ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। সোমবার নিহত মণীশের বাড়িতে যান মুকুল রায়, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেনন, জগন্নাথ সরকার প্রমুখ। রবিবার সন্ধেয় থানার সামনে কয়েক রাউন্ড গুলি চালিয়ে ঝাঁজরা করে দেওয়া হয় মণীশকে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, টিটাগড় থানার সামনে বাইকে চড়ে হেলমেট পরা দুষ্কৃতীরা দলীয় অফিসে ঢুকে মণীশ শুক্লাকে তাক করে অন্তত ৭ রাউন্ড গুলি চালায়। কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশের অনুমান, এই খুনে পেশাদার খুনীদের ব্যবহার করা হয়েছে।

এই ঘটনার পরই উত্তপ্ত টিটাগড় থানার সামনে এমন ঘটনায় বিটি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। মনীশ খুনের সিবিআই তদন্তের দাবি করেচেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। সোমবার সকাল থেকেই ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল থমথমে। দোকানপাট বন্ধ, যান চলাচল খুবই কম। টিটাগড় এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে ব়্যাফ, কমব্যাট ফোর্স। বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং বলেছেন, মনীশ ছিলেন তাঁর ছোট ভাইয়ের মতো। পরিকল্পনা করেই ওকে খুন করা হয়েছে। তৃণমূল, পুলিশের যোগসাজসে এই খুন বলে তাঁর অভিযোগ। মণীশ তৃণমূল থেকে অর্জুনের সঙ্গেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। বিজেপি সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে।