কলকাতা, ১৪ ফেব্রুয়ারি:- ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরের রাজ্য বাজেট আজ বুধবার বিধানসভায় পেশ হবে। রাজ্যের অর্থ দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য দুপুর দুটো নাগাদ বিধানসভায় বাজেট পেশ করবেন। কোভিড উত্তর পরিস্থিতিতে রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে রাজ্যের বিপুল ঋণের বোঝা ,রাজকোষ ও রাজস্ব ঘাটতির মতো একাধিক চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে অর্থমন্ত্রী বাজেট পেশ করবেন। পাশাপাশি কৃষক বন্ধু, লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী এবং রূপশ্রীতে মতো সামাজিক প্রকল্পের জন্য অর্থ যুগিয়ে অর্থমন্ত্রী বাজেটে কোন পথে আয় বাড়ানোর দিশা দেওয়া হয় সে দিকে নজর থাকবে।পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বাজেটে গ্রাম বাংলার জন্য নতুন কোনও প্রকল্প ঘোষণা করা হয় কিনা বা রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘভাতা নিয়ে অর্থমন্ত্রী কিছু বলেন কিনা তা নিয়ে জনমানসে কৌতুহল তৈরি হয়েছে। কিছুদিন আগেই কেন্দ্রে সাধারন বাজেট পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। সেই বাজেটে মূলত সরকারি চাকুরিজীবী, মোটা মাইনের বেসরকারি চাকুরিজীবী এবং ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন বলেই কার্যত একসুরে দেশের অধিকাংশ অর্থনীতিবিদই জানিয়ে দিয়েছেন। এমনকি সেই বাজেটে যে আমজনতার জন্য কিছু নেই সেটাও জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। ওই বাজেট পেশের পরে পরেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ দেশের বিজেপি বিরোধী সবকটি রাজনৈতিক দলই একসুরে জানিয়েছিল ওই বাজেটে দেশের কৃষক সম্প্রদায় ও নিম্নবিত্তরা চূড়ান্ত ভাবে উপেক্ষিত হয়েছে। তাই রাজ্য বাজেটে এই দুই সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য কী কী বরাদ্দ করা হয় তা দেখতে সবাই তাকিয়ে আছে।
তবে এবারের বাজেটে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের সামনে সব থেকে কঠিন হতে চলেছে বাজেট ঘাটতি মেটানো। নানা কারণে রাজ্যের কোষাগারে বেশ টান পড়েছে। রাজ্যের নিজস্ব আয়ের প্রায় ৩০ শতাংশ টাকা এখন নানা আর্থসামাজিক প্রকল্প চালাতে খরচ হয়ে যায়। তারপরে নিয়ম মতো সব খরচ করে দেখা যায় বড্ডজোর ১০ শতাংশ টাকা হাতে থাকছে অনান্য উন্নয়নমূলক কাজ করার জন্য। এই জায়গায় দাঁড়িয়ে চন্দ্রিমা আমজনতাকে বিকল্প কোন আয়ের রাস্তা দেখান বা রাজ্যকে বাড়তি আয় এনে দিতে পারেন সেটা দেখার জন্য অনেকেই তাকিয়ে থাকবেন। তবে সব থেকে বড় নজর থাকবে মূলত ৩টি বিষয়ের দিকে। এক, রাজ্য সরকার গ্রামের গরীব মানুষদের জন্য নিজস্ব ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প আনতে চাইছে। সেই সম্পর্কে আগামিকাল চন্দ্রিমা তাঁর বাজেটে কিছু ঘোষণা করেন কিনা তা দেখা হবে। দুই, লক্ষ্মী ভাণ্ডারের ৫০০ ও ১০০০ টাকা দেওয়ার পরিমাণ বাড়ে কিনা সেটা অনেকেই দেখতে চাইছেন এবং তিন, আবাস থেকে পানীয় জল সরবরাহ, মিড ডে মিল, এই বিষয়ে রাজ্য সরকার নিজের কোনও নতুন প্রকল্প সামনে আনে কিনা সেদিকেও সক লে তাকিয়ে থাকবেন।