কলকাতা, ১২ ফেব্রুয়ারি:- তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও সন্ত্রাস প্রশ্নে বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার চ্যালেঞ্জের পাল্টা জবাব দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘ইডি-সিবিআইকে দিয়ে তৃণমূলকে আটকানো যাবে না।’ এদিনের বিজেপির সভার ভাষণ দিতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদীর একাধিক প্যাকেজের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন নাড্ডা। অভিষেক বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতিকে পাল্টা বলেন, ‘আপনি আপনার সরকারের রিপোর্ট কার্ড নিয়ে আসুন, আমি আমাদের রিপোর্ট কার্ড নিয়ে যাব।’ রাজ্যের বিরোধীররা বারবার দুর্নীতি ও হিংসার অভিযোগ করেন। এদিনের সভায় এই প্রসঙ্গও টেনেছেন নাড্ডা। কেন্দ্রীয় সংস্থা এনসিআরবি-র তথ্যের কথা উল্লেখ করে অভিষেক বলেন, ‘কেন্দ্রীয় রিপোর্ট অনুযায়ী উত্তর-পূর্ব ভারতের মধ্যে যদি সবচেয়ে বেশি রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটেছে ত্রিপুরায়। বাংলায় নয়। মহিলাদের জন্য সবচেয়ে সুরক্ষিত শহর কলকাতা।’
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। গতবারের নির্বাচনে বাংলা যে চিত্র দেখছে সেই ছবি এবার দেখা যাবে না বলে বারবার বলছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। শনিবার কোচবিহারের মাথাভাঙার সভা থেকেও কোচবিহারের অভিষেক সেই কথাই জানান, বলেন, গত পঞ্চায়েতে ভুল ছিল, স্বীকার করলাম।’ আগামীতে যে এমন হবে না সেটাও বলেন তিনি। কিন্তু বিরোধীরা ইতিমধ্যেই সংশয় প্রকাশ করে রেখেছে যে, পঞ্চায়েতে প্রার্থী দিতে পারবে কিনা। সেই প্রসঙ্গে এদিন অভিষেক বলেন, ‘আগে আপনারা পঞ্চায়েতে কাদের দাঁড় করাবেন ঠিক করুন। প্রয়োজনে তাঁদের মনোনয়ন দিতে আমি নিয়ে যাব।’ ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী, বিচারব্যবস্থার একাংশকে দিয়ে তৃণমূলকে ভয় দেখানো যাবে না’, বলেন অভিষেক। রবিবার ফের পেগাসাস নিয়ে কেন্দ্র সরকারকে আক্রমণ করেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। তিনি আরও বলেন, ‘সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি অলিখিত জোট। নামে আলাদা রাজনৈতিক দল সব। কংগ্রেস-সিপিএম তো কার্যত হাত মিলিয়েই নিয়েছে!’ শেষে তিনি এও মনে করিয়ে দেন যে, একুশের মতো মানুষ সব বানচাল করে দেবে।