এই মুহূর্তে জেলা

নাজিরগঞ্জের ঘটনায় ধৃতদের ১২ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ।

হাওড়া, ২৮ জানুয়ারি:- হাওড়ার নাজিরগঞ্জের ঘটনায় ধৃতদের তোলা হলো আদালতে। ১২ দিনের পুলিশ হেফাজতের আদেশ। পুলিশকে আরও সক্রিয় হতে হবে বললেন ফিরহাদ। পাশাপাশি অভিযান চালিয়ে পুলিশকে মদ জুয়ার ঠেক বন্ধ করারও নির্দেশ দিলেন তিনি। শুক্রবার ভোররাতে হাওড়ার সাঁকরাইলের নাজিরগঞ্জের নেপালী পাড়ায় নৃশংসভাবে খুন হন রবি রাই(৪৫)। উদ্ধার হয় তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ। এই ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই পুলিশ শিবা ছেত্রী এবং শত্রুঘ্ন রজক নামের ২ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ। জানা গেছে, শুধুমাত্র রবিকে খুনের ঘটনাতেই নয়, এর আগেও ধৃত শিবার বিরুদ্ধে একাধিক অপরাধমূলক কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এইজন্য তাকে একাধিকবার জেলেও যেতে হয়েছিল। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে এর আগে সাট্টা, জুয়ার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০২০ সালে গ্রেফতার হয়েছিল শিবা। এছাড়াও একবার সাঁতরাগাছি থানা এলাকায় নন এফআইআর প্রসিকিউশন হয়েছিল। সে খুব উগ্র স্বভাবের ছেলে। একালায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের সঙ্গেও সে জড়িত ছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। তবে অপর ধৃত শত্রুঘ্নর অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার কোনও রেকর্ড পাওয়া যায়নি।

এদিকে, হাওড়ার শ্যামপুর এবং নাজিরগঞ্জের ঘটনা নিয়ে শনিবার সকালে হাওড়ায় পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “ওই দুই ঘটনা অত্যন্ত দুঃখের। হাওড়া সিটি পুলিশ এবং গ্রামীণ পুলিশকে আরও সক্রিয় হতে হবে। মদের ঠেক এবং জুয়ার ঠেক অবশ্যই তুলে দেওয়া উচিত এবং পুলিশকে সক্রিয় করা কোথায় কোথায় ঠেক চলছে। এখনই অভিযান চালিয়ে সব বন্ধ করা দরকার।” প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকালে রবি রাইয়ের মৃতদেহ উদ্ধারের পরই তদন্তে নামে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ এবং সোর্স মারফত এই খুনের ঘটনায় যুক্তদের শনাক্ত করা হয়। পরে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযুক্তদের প্রথমে আটক করে পুলিশ। এরপর শুরু হয় জেরা। ম্যারাথন জেরায় ভেঙে পড়ে তাদের অপরাধ স্বীকার করে। জেরায় ধৃতরা পুলিশকে জানিয়েছে নিজেদের মধ্যে পুরোনো শত্রুতা, তাদের সঙ্গে মৃত রবির খারাপ ব্যবহারের জন্য রাগ ছিল তাদের। সেই কারণেই মদ্যপ অবস্থায় ছুরি দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়। এরপর আটক শিবা ছেত্রী(২৬) এবং শত্রুঘ্ন রজককে(২৯) গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০২ (খুন) এবং ১২০বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) ধারায় মামলা রুজু করে। শনিবার ধৃতদের আদালতে তোলা হয়। তাদের ১২ দিনের পুলিশ হেফাজতের আদেশ দেয় আদালত।