এই মুহূর্তে জেলা

মাথার উপরে মুখ্যমন্ত্রী, আমরা ওষুধের কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভ, বিধায়কের মন্তব্যে শোরগোল।

হাওড়া, ৬ জানুয়ারি:- “আমরা কেউ কিচ্ছু নই, আমাদের একটাই লোগো।আমরা ওষুধের কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভ। আমাদের কোম্পানির নাম তৃণমূল কংগ্রেস। আমাদের ব্র‍্যান্ড মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়”। শুক্রবার উত্তর হাওড়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে এই মন্তব্য করেন তৃণমূল বিধায়ক গৌতম চৌধুরী। দলকে কোম্পানি আর নেতারা ওষুধের কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভ, বিধায়কের এই মন্তব্য ঘিরে রীতিমতো শোরগোল শুরু হয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। এই নিয়ে আসরে নেমে পড়েছে বিজেপিও। এর আগে শাসক দলকে আক্রমণ করতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলকে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি বলে একাধিকবার মন্তব্য করেছেন। এবার তৃণমূল বিধায়কের গলায় এই সুর নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে উত্তর হাওড়ার তৃণমূল বিধায়ক গৌতম চৌধুরী বলেন, “মাথার ওপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলা চলছে। ২৪ ঘন্টা, ৩০ দিন, ১২ মাস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন যে নির্দেশ দেবেন আমরা তা পালন করব। আমরা কেউ কিচ্ছু নই।

আমাদের একটাই লোগো। আমরা ডাক্তারখানার ওষুধের কোম্পানির রিপ্রেজেনটিটিভ। আমাদের কম্পানির নাম তৃণমূল কংগ্রেস, আমাদের ব্র্যান্ড মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমাদের আর কিচ্ছু নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতক্ষণ থাকবেন বাংলার মানুষ সুরক্ষিত থাকবেন। আমাদের একটাই নাম, একটাই চিন্তা, একটা ছবি নিয়ে ঘুরে বেড়াই তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়”। দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন দলের বিধায়ক সহ জনপ্রতিনিধিরা। শুক্রবার উত্তর হাওড়া বিধানসভা এলাকাতেও সাংবাদিক বৈঠক করে সেই কর্মসূচির সূচনা করেন বিধায়ক গৌতম চৌধুরী। সেখানেই তিনি বলেন, মাথার উপরে মমতা বন্দোপাধ্যায় রয়েছেন এবং অভিষেকের নেতৃত্বে বাংলা চলছে। আমরা কিচ্ছু নই। বিধায়ক, পদাধিকারীরা আমরা কিছুই নই। আমরা ওষুধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভ। এদিকে, এরপরই আসরে নেমে পড়েছে বিজেপি।

এই নিয়ে রাজ্য বিজেপির নেতা উমেশ রাই বলেন, শুভেন্দু অধিকারী আগেই বলেছেন, তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিম বাংলায় একটা পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির মতো চলছে। তার মালিক হচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর ডিরেক্টর হচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যেয়। এটাই আজ স্বীকার করেছেন উত্তর হাওড়ার বিধায়ক গৌতম চৌধুরীও। উনি পরিষ্কার বলে দিয়েছেন আমরা সবাই এই কোম্পানিতে আছি। আমাদের ব্র্যান্ডের নাম তৃণমূল। আমাদের মালিকের নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার রাজ্যের জনগণ ভাল করে বুঝতে পারছেন যে তৃণমূল একটা লোকতান্ত্রিক দল নাকি একটা রাজনৈতিক দলের বদলে একটা কোম্পানি। প্রসঙ্গত, গৌতম চৌধুরীর কাজকর্ম নিয়ে এর আগেও দলে বিতর্ক হয়েছে। উত্তর হাওড়ার রাস্তায় জল জমার ঘটনায় ওই বিধায়ক নিজেই রাস্তায় বসে অবরোধ করেছিলেন। যা সংবাদমাধ্যমে দেখে পরে শরৎ সদনের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী গৌতমবাবুকে এই নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন তুলেছিলেন। সাবধান করেছিলেন। তারপরেও ফের বিতর্কে গৌতম।