এই মুহূর্তে কলকাতা

সুন্দরবনকে নতুন জেলা গঠনের আইনি প্রক্রিয়াকে সহজ করার উদ্যোগ বিধানসভায়।

কলকাতা, ২৯ নভেম্বর:- মুখ্যমন্ত্রীর সুন্দরবনকে নতুন জেলা হিসাবে গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথা ফের ঘোষণার পরের দিনই নতুন জেলা গঠনের আইনি প্রক্রিয়াকে সহজ করার উদ্যোগ বিধানসভায়। বিধানসভায় বিল এনে সংক্রান্ত পুরনো আইনটি প্রত্যাহার করা হচ্ছে। যার ফলে নতুন জেলা তৈরির প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত রূপায়ণ আরো সহজতর হবে বলে প্রশাসনিক মহলের অভিমত। প্রসঙ্গত সুন্দরবন সহ ইতিমধ্যেই সাতটি নতুন জেলা তৈরীর কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার বিধানসভার চলতি অধিবেশনের শেষ দিনে পেশ করা হবে ‘‘দ্য বেঙ্গল ডিস্ট্রিক্ট্‌স (রিপিলিং) বিল, ২০২২’।বিধানসভার কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ব্রিটিশ আমলে তৈরি ১৮৬৪ সালের ‘বেঙ্গল ডিস্ট্রিক্ট্স অ্যাক্ট’ বা জেলা আইন বাতিল হয়ে যাবে। তবে পুরনো জেলা আইনে ইতিমধ্যে যা সিদ্ধান্ত হয়েছে, তার মান্যতা বজায় থাকবে। নতুন বিলে বলা হয়েছে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পুরনো জেলা আইন অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গিয়েছে।

ঘটনাচক্রে, বিধানসভায় যে দিন জেলা সংক্রান্ত বিল পাশ হবে, সে দিনই সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জে প্রশাসনিক কর্মসূচি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। মঙ্গলবারই সেখানে পৌঁছে মুখ্যমন্ত্রী , সুন্দরবনকে আলাদা জেলা করার কথা ঘোষনা করেছেন।জেলা সংক্রান্ত বিলের আগে মঙ্গলবার বিধানসভায় অন্য আর একটি বিল এনে ১৯১৯ সালের ‘বেঙ্গল জুভেনাইল স্মোকিং অ্যাক্ট’ বাতিল করা হচ্ছে। ‘দ্য বেঙ্গল জুভেনাইল স্মোকিং (রিপিলিং) বিল, ২০২২’-এ বলা হয়েছে, রাজ্য ল’ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী ব্রিটিস আমলের ওই আইনও এখন অপ্রাসঙ্গিক। পুরনো আইন মোতাবেক, অপ্রাপ্তবয়স্ক কেউ ধূমপান করলে বা তামাকজাত দ্রব্য তার কাছ থেকে উদ্ধার হলে (ব্যতিক্রমী কারণ ছাড়া) জরিমানার সংস্থান ছিল। পুলিশকে ওই তামাকজাত দ্রব্য বাজেয়াপ্ত করে নষ্ট করে ফেলার ক্ষমতাও দেওয়া ছিল সেই আইনে। বর্তমানে অপ্রাপ্তবয়স্কদের তামাকজাত সামগ্রী সহ যেকোনো নেশার সামগ্রী বিক্রি করাই আইনত দণ্ডনীয়। ফলে পুরনো আইনটি এখন প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে।