এই মুহূর্তে জেলা

চার চারটি খুনের আসামী নবীন’কে ট্রানজিট রিমান্ডে বিহার নিয়ে গেল টাস্ক ফোর্স।

হাওড়া , ২৫ নভেম্বর:- বিহার থেকে ফেরার চার খুনের দাগি আসামী নবীন’কে ট্রানজিট রিমান্ডে শুক্রবারই বিহার নিয়ে গেল ওই রাজ্যের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। নবীন কুমার ঝা নামের বিহারের কুখ্যাত ওই অপরাধীকে এদিন হাওড়া জেলা আদালতে তোলা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে হাওড়ার জগাছা থানা এলাকার কোনা এক্সপ্রেসওয়ের ট্রাক টার্মিনাল থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভিন রাজ্যের ওই দাগি দুষ্কৃতি শ্রমিকের ছদ্মবেশে গা-ঢাকা দিয়েছিল এই রাজ্যে। তাকে ধরতে এসে আক্রান্ত হয় বিহার এসটিএফ এর এক পুলিশ কর্মী। আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে হামলা করার চেষ্টা করে। যদিও শেষরক্ষা হয়নি। ধরা পড়ে যায় বিহারের এই কুখ্যাত অপরাধী। বিহার পুলিশের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে বিহারের মধুবনীতে একটি মাছের ভেড়ি নিয়ে গন্ডগোল হয়।

এর জেরে একসঙ্গে চার জনকে কুপিয়ে, গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটে। তার তদন্তে নেমে বিহার পুলিশ জানতে পারে ওই খুনের পিছনে মূল চক্রী নবীন। নবীন মধুবনীর কুখ্যাত দুষ্কৃতি। এরপর এই ঘটনার তদন্তে নামে বিহার পুলিশ। এই মামলায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে বিহার পুলিশ। কিন্তু এই খুনে অন্যতম অভিযুক্ত বিহারের মধুবনীর বাসিন্দা নবীন ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ ছিল। সেই ঘটনার পর থেকে তাকে খুঁজে বেড়াচ্ছিল বিহার পুলিশ ও এসটিএফ। গোপন সূত্রে এবং টাওয়ার লোকেশন ট্র‍্যাক করে পুলিশ জানতে পারে হাওড়া কোনা এক্সপ্রেসওয়ে সংলগ্ন কোনা ট্রাক টার্মিনালে সে গা ঢাকা দিয়ে আছে। এরপর জগাছা থানার সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার বিকেলে এসটিফের ছ’জনের দলটি সাদা পোশাকে কোনা এক্সপ্রেসওয়ের ট্রাক টার্মিনালে আসে। ট্রাক টার্মিনালে শ্রমিকের ছদ্মবেশে থাকা নবীনকে দেখতে পেয়ে তাকে ঘিরে ধরে ৬ জনের পুলিশের দল।

দলের ছ’জনের মধ্যে চার জন ছিলেন সাব-ইনস্পেক্টর এবং দু’জন জুনিয়র কম্যান্ডো। তা দেখে ওই দুষ্কৃতি পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে তার ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এক পুলিশ অফিসারের রিভলভার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে সে। এসটিএফের সাব-ইনস্পেক্টর অমরেন্দ্র কিশোর বাধা দিতে গেলে তাঁর বাঁ হাতের মধ্যমা কামড়ে ভেঙে দেয় নবীন। ওই অবস্থাতেও তাকে জাপটে ধরে ফেলেন অমরেন্দ্র। এছাড়াও আরও এক পুলিশ কর্মী জখম হন। এ দিন আন্দুল রোডের ওই বেসরকারি হাসপাতালে বসে আহত ওই সাব-ইনস্পেক্টর বলেন, “আসামি পালানোর চেষ্টা করাতেই এত কাণ্ড ঘটল। সে রিভলভার ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে পারেনি। শেষে ধরাও পড়ে গিয়েছে।” পুলিশ জানিয়েছে, ওই দুষ্কৃতিকে গ্রেফতার করে রাতেই জগাছা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। আহত পুলিশ অফিসারকে আন্দুল রোডের বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাঁর চিকিৎসা হয়। জখম হয় ধৃত নবীনও।