কলকাতা, ১২ নভেম্বর:- ডেঙ্গি-পরিস্থিতি ক্রমশ আশঙ্কাজনক হয়ে উঠছে। পশ্চিমবঙ্গে শুধু শুক্র বারই রাজ্যে ৯০৫ জন নতুন করে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। গোটা রাজ্যে ডেঙ্গি-পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট সব মহল। গত কয়েকদিন ধরেই হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। প্রত্যেকটি জেলায় তাই সতর্কীকরণের কাজ শুরু হয়েছে, কাজ পুরোদমে চলছেও। গোটা রাজ্য জুড়ে জনপ্রতিনিধিরা তাঁদের এলাকায় বেরিয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষকে ডেঙ্গি নিয়ে সচেতন করতে। পাশাপাশি চলছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার কাজ। ছড়ানো হচ্ছে মশা মারার কীটনাশক তেল, ব্লিচিং পাউডার। সমগ্র ডেঙ্গি-পরিস্থিতি নিয়ে নবান্নও যথারীতি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। মুখ্য সচিব হরি কৃষ্ণ দ্বিবেদী শনিবার নবান্ন থেকে বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক এবং পঞ্চায়েত দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে রোগ নিয়ন্ত্রণে কোথাও যেন জল জমে না থাকে সেই বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে বলেছেন বলে জানা গিয়েছে।
পাশাপাশি ময়লা আবর্জনা এবং জঙ্গল পরিষ্কার করার কথা বলা হয়েছে। মশার লার্ভা নিধনের জন্য কীটনাশক স্প্রে করতে হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। এই কাজের সঙ্গে জড়িত আধিকারিকদের সেলফ অ্যাপ্রাইসাল রিপোর্টে দিতে হবে এই সংক্রান্ত কাজের খতিয়ান।পঞ্চায়েত পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের আধিকারিকদের জন্যই এই নয়া নিয়ম চালু করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের জানাতে হবে দূষণ নিয়ন্ত্রণের প্রকল্পে যে লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল, সেই কাজ তাঁরা কতটা শেষ করতে পেরেছেন। যদি নির্দিষ্ট সময়ে টার্গেটে পৌঁছতে না পারা যায়, তাহলে সেই কারণও ব্যাখ্যা করতে হবে। নবান্ন থেকে বিশেষ নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে। বলা হয়েছে এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এরই জেরে গোটা রাজ্যে জনপ্রতিনিধিরা বেরিয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষকে সতর্ক করতে। এমত অবস্থায় কঠিন ও তরল বর্জ্য, জঞ্জাল সাফাই, বায়ু ও শব্দ দূষণের প্রকল্প নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করতে বিশেষ উদ্যোগ নিল নবান্ন। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে গ্রাম ও শ হরে নিকাশি ব্যবস্থা আরো ভালো করার উপরে জোর দিচ্ছে রাজ্য।