হাওড়া, ১৯ অক্টোবর:- হঠাৎই বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো মুঠোফোনের হোয়াটস অ্যাপ। আর তা চালু করতে গিয়ে প্রতারকদের কবলে পড়েন এক কলেজ ছাত্রী। অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে যায় প্রায় চুয়াল্লিশ হাজার টাকা। তদন্তে নেমেছে সাইবার ক্রাইম থানা। হাওড়ার রাউন্ড ট্যাঙ্ক লেনের বাসিন্দা বিনোদ কেডিয়া গত সোমবার সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন মোবাইলে তাঁর হোয়াটস অ্যাপ খুলছে না। বিষয়টি তিনি জানান তাঁর মেয়েকে। কলেজ ছাত্রী মেঘা বাবার মোবাইল নিয়ে গুগল থেকে হোয়াটস অ্যাপ কাস্টমার কেয়ারের নম্বর বের করেন। কিন্তু সেই নম্বরটি ছিলো প্রতারকদের নম্বর। সেই নম্বরে ফোন করতে প্রতারকরা জানায় হোয়াটস অ্যাপ চালু করতে গেলে দশ টাকা পেমেন্ট করতে হবে।
তাতে রাজি হয়ে যান মেঘা। তখন প্রতারকরা তাঁকে একটি অ্যাপস ডাউনলোড করতে বলেন যেখান থেকে টাকা পেমেন্ট করতে হবে। সেইমতো ওই অ্যাপ ডাউনলোড করেন মেঘা। আর তখনই মোবাইলের ডেটা চলে যায় প্রতারকদের হাতে। পাসওয়ার্ড দিয়ে পেমেন্ট করার আগেই প্রতারকরা দশ টাকার বদলে চুয়াল্লিশ হাজার টাকা বসিয়ে নেয়। আর পেমেন্ট বটন প্রেস করতেই অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে যায় টাকা। এরপর ওই ব্যবসায়ী ও তাঁর মেয়ে হাওড়া সাইবার ক্রাইম থানার দ্বারস্থ হন। সেখানে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশের বক্তব্য, অচেনা কেউ ফোন করে কোনও অ্যাপ ডাউনলোড করতে বললে তা করা উচিত নয়। এসব বিষয়ে সবসময়ই সতর্ক থাকা উচিত।