এই মুহূর্তে জেলা

পুলিশ পরিচয় দিয়ে বৃদ্ধকে ব্ল্যাকমেল, গ্রেপ্তার এক মহিলা সহ তিনজন।

সুদীপ দাস, ২৬ জুলাই:- ভুয়ো অফিসার পরিচয়ে লক্ষাধিক টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠলো চুঁচুড়া আদালতের এক মুহুরির বিরুদ্ধে। ঘটনায় ধৃত অভিযুক্ত মুহুরি সহ আরো ২। ধৃতদের এদিন তোলা হলো আদালতে। প্রসঙ্গত চন্দননগর থানার অফিসার পরিচয় দিয়ে এক বৃদ্ধের কাছ থেকে প্রায় লক্ষ্মাধিক টাকা হাতিয়ে নিলো চুঁচুড়া কোর্টের মুহুরি তারক নাথ কুন্ডু বলেই অভিযোগ। চন্দননগর কলুপুকুর আবাসনের বাসিন্দা বছর৭২ এর রমেশ চ্যাটার্জি। তার বাড়িতে আসতেন তারই বন্ধু ফটক গোড়ার বাসিন্দা রুনু দাসগুপ্ত। অভিযোগ রুনু বাবুর মেয়ে কে নিয়ে এসে একদিন কায়দা করে ফোটো তোলানো হয় রমেশের সংগে। সেই ছবি নিয়েই ঘটনার সূত্রপাত।

এরপর একদিন চন্দননগর থানার আধিকারিক পরিচয় ভাঁড়িয়ে চুঁচুড়া কোর্টের মুহুরি তারক নাথ কুন্ডু রমেশ চ্যাটার্জির ফ্লাটে এসে বলে, আমি চন্দননগর থানার অফিসার আপনার বিরুদ্ধে রুনু বাবুর মেয়ে মৌসুমিকে ধর্ষনের অভিযোগ থানাতে এসেছে। তবে ভয় পাওয়ার প্রয়োজন নেই ৫ লাখ টাকা দিলে কেস উঠে যাবে। প্রস্তাব মিলতেই শুরু হয় দর কষাকষি। অবশেষে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা, যা তিনজন প্রতারক কে ক্ষেপে ক্ষেপে দিয়েও দেন রমেশ বাবু বলেই খবর। পাশাপাশি বাকি টাকা দেওয়ার সময় তারিখ জানিয়ে দেন রমেশবাবু। রমেশ বাবু এই বিষয়ে থানার দ্বারস্থ হলে ঘটনা জানতে পেরে চন্দননগর থানার পুলিশ ওত পেতে থেকে ঘটনায় অভিযুক্ত তিন জনকে ফটক গোড়া এলাকা থেকে আটক করে। ধৃত তারক নাথ কুন্ডু, রুনু দাসগুপ্ত এবং মধুমিতা দাশগুপ্তকে। থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদের পর ধৃতদের গ্রেফতার করা হয়। ধৃত তিনজনকেই এদিন তোলা হলো আদালতে।