এই মুহূর্তে কলকাতা

নেতৃত্বের সঙ্গে পরামর্শ করেই পিএসি চেয়ারম্যানের পর থেকে ইস্তফা দিলেন মুকুল রায়।


কলকাতা, ২৭ জুন:- মুকুল রায় বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। সোমবার বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে ই-মেলে তিনি ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। বিধানসভার সদ্য সমাপ্ত অধিবেশনে অধ্যক্ষ ৪১টি স্থায়ী কমিটির মেয়াদ আরও এক বছরের জন্য বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেন। সেক্ষেত্রে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদে মুকুল রায়ের মেয়াদও আরও একবছর বাড়ানো হয়েছিল। এর ফলে পিএসি চেয়ারম্যান পদে মুকুল রায়ের মেয়াদও এক বছর বেড়ে গিয়েছিল।তবে তিনি আর ওই পদে থাকতে চাননা সেকথা মুকুল রায় চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন বলে বিধানসভার সচিবালয় সূত্রে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি মুকুল আগেই মুকুল রায়কে পিএসি চেয়ারম্যান করা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল। তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে কখনও স্পিকার, কখনও আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি পরিষদীয় দল। কিন্তু আদালতের নির্দেশে দু’বার স্পিকার জানিয়েছেন, মুকুল এখনও বিজেপিতেই রয়েছেন। তাই তিনি বিজেপির বিধায়ক। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কোনও প্রমাণ নেই। নেতৃত্বের সঙ্গে পরামর্শ করেই মুকুলের ইস্তফা বলে দলীয় সূত্রে খবর।

পিএসি মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করতেন না তিনি। এ ক্ষেত্রে তাপস রায়কে বারবার দেখা গিয়েছে কমিটি চেয়ার করতে। যা নিয়ে বিতর্ক ছিলই। বিধানসভা সূত্রে খবর, সম্প্রতি নেতৃত্বের সঙ্গে মুকুল রায়ের কথা হয়। নেতৃত্বের নির্দেশেই মুকুলের এই সিদ্ধান্ত। মুকুল রায় সম্প্রতি বিধানসভায় পেনশন নিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে যান। এখানেই নতুন জল্পনা শুরু। তা-হলে কি তিনি বিধায়ক পদ থেকে সরে যেতে পারেন? আগামী ৮ জুলাই পিএসি-র চেয়ারম্যানের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তার আগে সম্প্রতি সমাপ্ত হওয়া বিশেষ অধিবেশনের শেষ দিন সরকারি মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ স্ট্যান্ডিং এবং হাউজ কমিটি মিলিয়ে মোট ৪১টি কমিটি অপরিবর্তিত রেখে মেয়াদ ১ বছরের জন্য বাড়িয়ে দেন। ফলে, পিএসি-র চেয়ারম্যান হিসাবে মুকুল রায়েরও মেয়াদ ১ বছর বেড়ে যায়। ঘটনার রেশ কাটতে না-কাটকে পি এ সি চেয়ারম্যান হিসাবে মুকুল রায়ের ইস্তফা রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। যদিও বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন এখনও পর্যন্ত তিনি কিছুই পাননি। তাঁর সচিবালয়ে এসেছে বলে তিনি শুনেছেন। তাঁর সচিবালয়ের থেকে তাঁর কাছে সেই চিঠি পাওয়ার পর তিনি দেখবেন এটা আইনগত ভাবে কতটা সঠিক। তারপরই তিনি এই বিষয়ে পদক্ষেপ করবেন।