কলকাতা এই মুহূর্তে

ই-পেমেন্টের মাধ্যমে ইলেকট্রিক বিল দিলে বাড়তি এক শতাংশ ছাড়।


কলকাতা, ২৫ জুন:- রাজ্যজুড়ে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র গুলিকে আরও জনপ্রিয় করা তোলার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। এই উদ্দ্যেশ্যে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র থেকেই পেমেন্টের মাধ্যমে ইলেকট্রিক বিল দিলে বাড়তি এক শতাংশ ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের তরফে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। নবান্ন সূত্রের খবর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জেলার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলি কে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিশেষ জোর দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। তাই এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়র নির্দেশ মেনেই বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলিকে আরো বেশি সুচারু ভাবে কার্যকরী করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন প্রশাসনের শীর্ষ মহল। তারই অঙ্গ হিসাবে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র মারফত ই পেমেন্টের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল আদায় করলেই পাওয়া যাবে এক শতাংশ বিশেষ ছাড়। এমনিতেই বিদ্যুৎ বিলের ওপর নানা রকম ছাড় দিয়ে থাকে রাজ্য সরকার। নির্ধারিত দিনের আগে বিল জমা দিলে ছাড় দেওয়া হয়। অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল জমা দিতে উৎসাহ দিতেও বিশেষ ছাড় চালু রয়েছে।

এই সব ছাড়ের পাশাপাশি বাংলা সহায়তা কেন্দ্র থেকে বিল জমা দিলে ওই বিশেষ ছাড় মিলবে বলেই জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই গ্রামাঞ্চলের মানুষের কাছে সরকারি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা আরো ভালভাবে পৌছে দিতে প্রতিটি পঞ্চায়েতে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র খোলার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। এরপরে নবান্নের তরফে লিখিতভাবে সমস্ত জেলাশাসককে এই মর্মে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে প্রত্যেকটি গ্রাম পঞ্চায়েতে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের শাখা খুলতে হবে। সে জন্য উপযুক্ত জায়গা খোঁজ করতে বলা হয়েছে। পঞ্চায়েতের দফতরে নয় বরং সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের এলাকায়। অন্য উপযুক্ত স্থানে এগুলো তৈরি করতে বলা হয়েছে। যেখানে যাতায়াতের পথ সুগম এবং সহজেই মানুষের চোখে পড়ে।

বিদ্যুৎ, পানীয়জল, ইন্টারনেট কানেকশনের মতো সুযোগ-সুবিধা থাকতে হবে সেখানে। শুধুমাত্র এখনো পর্যন্ত বাংলা সহায়তা কেন্দ্র খোলা হয়নি এমন পঞ্চায়েত এলাকা নয় অন্য কোন জায়গাতেও বাংলা সহায়তা কেন্দ্র খোলার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলে জেলাশাসকদের তাও জানাতে বলা হয়েছে ওই নির্দেশিকায়। তথ্যমিত্র কেন্দ্রের ধাঁচেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় নয়া সহায়তা কেন্দ্র চালু করেছিল রাজ্য সরকার। সবকটি বিএসকে -এর উপর নজর রাখে নবান্ন। আসলে সরকারি সমস্ত সুযোগ সুবিধা অনলাইনে পাওয়া যায় এখন। কিন্তু, রাজ্যের অনেক জায়গাতেই সাইবার ক্যাফে নেই। স্মার্টফোনও নেই বহু মানুষের কাছে। অনেকের বাড়িতে ইন্টারনেট পরিষেবা নেই আজও। এমতাবস্থায় মানুষের সহায়তা করে বিএসকে। জেলা সদর, মহকুমা সদর, ব্লক সদরেও একাধিক সহায়তা কেন্দ্র রয়েছে। রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল, গ্রন্থাগার কিংবা পঞ্চায়েত অফিসে ওই সহায়তা কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে।