এই মুহূর্তে কলকাতা

রাজ্যপালের হাত থেকে সরিয়ে নিজেদের হেফাজতে বিচারবিভাগীয় সদস্য নিয়োগের দায়িত্ব চায় রাজ্য।

কলকাতা, ২৩ জুন:- ট্যাক্সেশন ট্রাইব্যুনালের পর এবার ওয়েস্ট বেঙ্গল ল্যান্ড রিফর্মস অ্যান্ড টেন্যান্সি ট্রাইব্যুনালের সভাপতি ও বিচারবিভাগীয় সদস্য নিয়োগের দ্বায়িত্ব রাজ্যপালের হাত থেকে সরিয়ে রাজ্য সরকার নিজের হাতে নিতে চায়। সেজন্য সংশ্লিষ্ট আইনের একটি সংশোধনী আগামী কাল রাজ্য বিধানসভায় পেশ করা হবে।ওই বিল আইনে পরিণত হলে, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আলোচনা করে রাজ্যই এই ট্রাইব্যুনালের সভাপতি ও বিচার বিভাগীয় সদস্যের পদ পূরণ করতে পারবে। নবান্ন সূত্রের খবর, সম্প্রতি মন্ত্রিসভার বৈঠকে ল্যান্ড রিফর্মস অ্যান্ড টেন্যান্সি ট্রাইব্যুনালের শীর্ষপদে নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্যপালের জায়গায় রাজ্যকে ক্ষমতা দেওয়ার বিষয়টি ছাড়পত্র পেয়েছে। উল্লেখ্য, জমি সংক্রান্ত বিবাদের সমাধানের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করে এই ট্রাইব্যুনাল। এই মুহূর্তে এই ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শঙ্কর আচার্য। আগামী আগস্টে তাঁর মেয়াদ শেষ হচ্ছে।

এই ট্রাইব্যুনালে আরও তিনজন জুডিশিয়াল মেম্বার ও তিনজন অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ মেম্বার আছেন। অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ মেম্বারের একটি পদ এই মুহূর্তে ফাঁকা রয়েছে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। ইতিমধ্যে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদে রাজ্যপালের বদলে মুখ্যমন্ত্রীকে বসাতে একাধিক বিল পাশ হয়েছে। সোমবারই ধ্বনি ভোটে পাশ হয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্যাক্সেশন ট্রাইব্যুনাল (সংশোধনী) বিলও। প্রশাসনিক মহলের খবর, মূলত ট্রাইব্যুনালগুলির শীর্ষপদে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া সারতেই এই পদক্ষেপ। পাশাপশি, সমস্ত ট্রাইব্যুনালে একইরকম নিয়ম বজায় রাখতেও এই উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য। প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৯ সালে ওয়েস্ট বেঙ্গল ল্যান্ড রিফর্মস অ্যান্ড টেন্যান্সি (সংশোধনী) বিল এনে চেয়ারম্যান পদে থাকার বয়স ৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৬৮ বছর করেছিল রাজ্য। পাশাপাশি, অন্য সদ্যসদের বয়সও ৬২ থেকে বাড়িয়ে ৬৫ বছর করা হয়েছে।