এই মুহূর্তে কলকাতা

রাজ্যের শিল্পায়নের লক্ষ্যে নবান্ন থেকে বড়সড় পদক্ষেপের কথা ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর।

কলকাতা, ২৩ জুন:- ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে জিতে তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যে শিল্প এবং কর্মসংস্থানই এখন তাঁর পাখির চোখ।কোভিড যুদ্ধ জয়ের পর গত এপ্রিলে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে আন্তর্জাতিক শিল্পমহলের কাছে এ বিষয়ে জোরালো বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে রাজ্যের শিল্পায়নের লক্ষ্যে বড়সর পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, ‘‌আসানসোলে সেল গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। জিএসআই ইতিমধ্যেই সার্ভে করেছে। সেল গ্যাসের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে ওখানে। মিনিস্ট্রি অফ পেট্রোলিয়ামের অনুমোদন নিয়েই আমরা এটা করছি। সেল গ্যাসের উৎপাদনে আমরা ছাড় দিয়েছি।’‌ মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ‘‌এখানে ১৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে। একইসঙ্গে প্রচুর কর্মসংস্থান হবে। আগামী দু’‌তিন বছরে ২২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে সেল গ্যাসের উৎপাদনে। এখানে বড় শিল্প সম্ভাবনা শুরু হয়েছে।

নয়াচরের ক্ষেত্রে আগের সরকারের আমলে চুক্তি হয়েছিল। এই চুক্তিটা আমরা বাতিল করে দিলাম। এখানে আমরা অ্যাকোয়া হাব তৈরি করতে পারব। অ্যাকোয়া হাব ও সোলার পার্ক ৯ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে।’‌ নবান্ন সূত্রে খবর, এই নয়াচরে ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সোলার প্লান্ট গড়ে তুলতে চায় রাজ্য সরকার। নয়াচরের প্রতি বর্গমিটার জমি বছরে ১৭০০ কিলোওয়াট সৌর বিকিরণ পায়। তাই সেটাকে গুরুত্ব দিয়েই মুখ্যসচিব একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন। বৈঠকে অচিরাচরিত শক্তি দফতরের আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন। এদিন বামফ্রন্ট সরকারের নয়াচর চুক্তি বাতিল ঘোষণা করা হল। উল্লেখ্য, নয়াচরে বামফ্রন্ট সরকার কেমিক্যাল হাব করবে বলে ঘোষণা করেছিল। তা নিয়ে বিতর্কের জল অনেকদূর গড়ায়। এবার চলতি বছরে অপ্রচলিত উৎস থেকে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ তৈরির ক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার মধ্যে সৌর বিদ্যুতের পরিমাণ হবে এক লক্ষ মেগাওয়াট। এই সোলার পার্ক সেই লক্ষ্য পূরণে সাহায্য করবে।