এই মুহূর্তে কলকাতা

এবার প্রতিটি পঞ্চায়েতের বাংলা সহায়তা কেন্দ্র খুলতে উদ্যোগী রাজ্য।

কলকাতা, ১৯ জুন:- গ্রামাঞ্চলের মানুষের কাছে সরকারি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা আরো ভালভাবে পৌছে দিতে এবার প্রতিটি পঞ্চায়েতে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র খুলতে উদ্যোগী হলো রাজ্য সরকার। সম্প্রতি বাংলা সহায়তা কেন্দ্রীয় সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা করতে নবান্নে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী পর্যালোচনা বৈঠকে বসেন। সেখানেই তিনি যে সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতে এখনো পর্যন্ত বাংলা সহায়তা কেন্দ্র তৈরি করা হয়নি সেখানে অবিলম্বে এ ধরনের কেন্দ্র খোলার নির্দেশ দিয়েছেন। এরপরে নবান্নের তরফে লিখিতভাবে সমস্ত জেলাশাসককে এই মর্মে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে প্রত্যেকটি গ্রাম পঞ্চায়েতে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের শাখা খুলতে হবে। সে জন্য উপযুক্ত জায়গা খোঁজ করতে বলা হয়েছে। পঞ্চায়েতের দফতরে নয় বরং সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের এলাকায়।অন্য উপযুক্ত স্থানে এগুলো তৈরি করতে বলা হয়েছে। যেখানে যাতায়াতের পথ সুগম এবং সহজেই মানুষের চোখে পড়ে। বিদ্যুৎ, পানীয়জল, ইন্টারনেট কানেকশনের মতো সুযোগ-সুবিধা থাকতে হবে সেখানে। শুধুমাত্র এখনো পর্যন্ত বাংলা সহায়তা কেন্দ্র খোলা হয়নি এমন পঞ্চায়েত এলাকা নয় অন্য কোন জায়গাতেও বাংলা সহায়তা কেন্দ্র খোলার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলে জেলাশাসকদের তাও জানাতে বলা হয়েছে ওই নির্দেশিকায়। তথ্যমিত্র কেন্দ্রের ধাঁচেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় নয়া সহায়তা কেন্দ্র চালু করেছিল রাজ্য সরকার। সবকটি বিএসকে -এর উপর নজর রাখে নবান্ন। আসলে সরকারি সমস্ত সুযোগ সুবিধা অনলাইনে পাওয়া যায় এখন।

কিন্তু, রাজ্যের অনেক জায়গাতেই সাইবার ক্যাফে নেই। স্মার্টফোনও নেই বহু মানুষের কাছে। অনেকের বাড়িতে ইন্টারনেট পরিষেবা নেই আজও। এমতাবস্থায় মানুষের সহায়তা করে বিএসকে। জেলা সদর, মহকুমা সদর, ব্লক সদরেও একাধিক সহায়তা কেন্দ্র রয়েছে। রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল, গ্রন্থাগার কিংবা পঞ্চায়েত অফিসে ওই সহায়তা কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। যদিও গত বছরের জুলাই মাসে বিএসকে এর পরিকাঠামো নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। জেলাশাসক এবং মিউনিসিপ্যাল কমিশনারদের এ নিয়ে কড়া চিঠিও দিয়েছিল নবান্ন। কেন বিএসকে -এর পরিকাঠামোর উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে না, সে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল নবান্ন। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়ে বলা হয়েছিল, পরিকাঠামো জনিত সমস্যাগুলি চটজলদি মিটিয়ে ফেলতে। বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত অনেক আধিকারিক অন্যত্র কাজ করছিলেন। তাঁদের ফিরিয়ে আনার কথাও বলা হয়েছিল। বিএসকে -এর সম্পর্কে আধিকারিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথাও বলা হয়েছিল। প্রত্যেক রিভিউ মিটিংয়ে বিএসকে সম্বন্ধীয় আলোচনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। যাঁদের বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলি উপস্থাপনযোগ্য হয়, সেদিকেও নজর রাখার কথা বলা হয়েছিল। তবে বর্তমান সাফল্য এবং সম্প্রসারণের পরিকল্পনা থেকে এটা স্পষ্ট যে নবান্নের কড়া নজরদারিতে মানুষের পাশে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলি।