কলকাতা, ৬ জুন:- এবার থেকে রাজ্যের সব সরকারি ও সরকারি সহায়তাপ্রাপ্ত বিশ্ব বিদ্যালয়ের আচার্য হবেন মুখ্যমন্ত্রী। সরকারের এই সিদ্ধান্তে সোমবার আনুষ্ঠানিক ছাড়পত্র দিল রাজ্য মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং পশ্চিমবঙ্গ পশু ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় এর আচার্য ও হবেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিদর্শক হবেন শিক্ষামন্ত্রী। আসন্ন বিধানসভা অধিবেশনে এই সিদ্ধান্ত বিল আকারে পেশ করা হবে বলে নবান্ন সুত্রে জানা গিয়েছে। রাজ্য সরকারের অধীনে ওয়েস্ট বেঙ্গল হেল্থ সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। কৃষি দফতরের অধীনে রয়েছে বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ব বিদ্যালয়।
এছাড়া রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়। এই তিন বিশ্ববিদ্যালয়েই আচার্য হবেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য মন্ত্রিসভায় সোমবার এই প্রস্তাবে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হলে এ ব্যাপারে বিধানসভায় বিল পেশ করা হবে। তার পর তা রাজ্যপালের সইয়ের জন্য পাঠানো হবে। ১০ জুন থেকে বিধানসভার অধিবেশন শুরু হতে চলেছে। এই বাদল অধিবেশনেই বিল পেশ করা হবে বলে সরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরানোর পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলির ‘ভিজিটর’ পদ থেকেও রাজ্যপালকে অপসারণের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন। রাজ্যপালের পরিবর্তে ভিজিটর হবেন শিক্ষামন্ত্রী। এ বিষয়েও বিধানসভায় বিল পেশ করতে পারে সরকার।
সন্দেহ নেই রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে আবারও রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর বিবাদ আরও চরমে উঠবে। কেন না এটা সবাই বুঝতে পারছেন যে, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় রাজ্যের অধীনস্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থেকে আধিকারিকদের যেভাবে হুমকি ধমকি দিচ্ছিলেন তাতে করে শিক্ষার সামগ্রিক পরিবেশ ভীষণ রকম ভাবেই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছিল। উপাচার্যরাও ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে ছিলেন। এমনকি তাঁরা অপমানিত বোধও করছিলেন। এই অবস্থায় রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বার বার অনুরোধ জানানো হয় ধনখড়কে এই ধরনের পদক্ষেপ না নিতে। কিন্তু সে কথা তিনি কানে তোলেননি। প্রসঙ্গত, বিলে সই না করলে জারি হবে অর্ডিন্যান্স, যাতে সই করতে তিনি বাধ্য। সেই অর্ডিন্যান্স জারি হলেই রাজ্যপালের জায়গায় রাজ্যের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে আচার্য হতে পারবেন মুখ্যমন্ত্রী।