এই মুহূর্তে জেলা

সেন্ট্রাল অ্যাক্ট বা কেন্দ্রীয় আইন অবিলম্বে চালু করতে হবে , দাবি তুললেন ডাঃ শান্তনু সেন।

হাওড়া, ১১ এপ্রিল:- সেন্ট্রাল অ্যাক্ট বা কেন্দ্রীয় আইন অবিলম্বে চালু করতে হবে। যাতে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত থাকে। হাওড়ায় চিকিৎসক নিগ্রহ-কান্ডে কেন্দ্রের কাছে ফের এই দাবি তুললেন শান্তনু সেন। হাওড়া জেলা হাসপাতালে রোগী মৃত্যু নিয়ে কর্তব্যরত দুই চিকিৎসককে নিগ্রহের ঘটনা নিয়ে এদিন সরব হন বিশিষ্ট চিকিৎসক তথা সাংসদ এবং আইএমএ-র প্রাক্তন সভাপতি ডাঃ শান্তনু সেন। সোমবার হাওড়ায় এসে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, চিকিৎসকেরা অত্যন্ত সহমর্মিতার সঙ্গেই প্রত্যেক রোগীর সেবা করেন। চিকিৎসা দেন। কোনও চিকিৎসকই একজন রোগীকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেননা। এই ঘটনায় কার্তিক দে যিনি একজন ক্রনিক কিডনির রোগী, তাঁর ডায়ালাইসিস চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তাঁকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁর মৃত্যুর পর বেশ কিছু গুন্ডা, হুলিগান তারা হাসপাতালে ঢুকে ভাঙচুর করল। দুই চিকিৎসককে বেধড়ক মারধর করল। ডাঃ প্রমিত বসুর মাথায় ইসিজি মেশিন দিয়ে মারা হলো। এছাড়া ডাঃ নবারুণ মজুমদারকে এমনভাবে মারা হল যে তার শোল্ডার ডিসলোকেশন হয়ে গেল। এই ঘটনার আমরা নিন্দা করছি। ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে এক প্রতিনিধি দল আজকে আমরা এসেছিলাম। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিনি মানবদরদী তিনি চিকিৎসকদের সম্পর্কে অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল।

প্রত্যেক চিকিৎসক কোভিড পরিস্থিতিতে যেভাবে মানুষের জীবন বাঁচিয়েছেন যেভাবে মানুষের জীবন বাঁচাতে নিজেদের জীবন বাজি রেখে কাজ করেছেন আমরা সেই চিকিৎসকদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। মাননীয় পুলিশ কমিশনার হাওড়া সি সুধাকার সাহেব তিনি আমাদের জানিয়েছেন যে এই ঘটনায় যিনি যুক্ত তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এবং তিনি জেল হেফাজতে রয়েছেন। ধৃতের বেল রিজেক্ট হয়েছে। আমরা দাবি করেছি যে বা যারা এই ধরনের গুন্ডাগিরি করে চিকিৎসকদের ওপর হামলা চালায় তাদের যেন কোনওভাবে জামিন না হয় এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়। হাওড়ার পুলিশ কমিশনার যেভাবে এই ঘটনায় ব্যবস্থা নিয়েছেন আমরা খুশি। তবে আমরা সমস্ত মানুষকে জানাতে চাই কোভিড পরিস্থিতিতে মানব সমাজ যখন অস্তিত্ব সংকটে পড়েছিল সেই সময় একমাত্র চিকিৎসকরাই তাদের জীবন বাজি রেখে মানুষকে বাঁচাতে এগিয়ে এসেছিলেন। সুতরাং চিকিৎসকদের গায়ে হাত তুলবেন না। আমরা বারবার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছি যে চিকিৎসকদের জন্য চিকিৎসকদের নিরাপত্তার জন্য আইন তৈরী হোক। আমরা ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দৃঢ়কণ্ঠে দাবি জানাচ্ছি অবিলম্বে সেন্ট্রাল অ্যাক্ট কেন্দ্রীয় আইন চালু করতে হবে। যাতে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত থাকে।