এই মুহূর্তে জেলা

বইয়ের বিকল্প নেই , নতুন প্রজন্মের কাছে বেশি করে বই পৌছে দিতে হবে – চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য

উঃ২৪পরগনা, ২৬ মার্চ:- শুক্রবার সন্ধ্যায় নববারাকপুর শিক্ষা সংস্কৃতি পরিষদ আয়োজিত ৫নং ওয়ার্ডের মজলিস প্রাঙ্গণে বইমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। জীবনে চলার পথে নতুন প্রজন্মের কাছে বেশি করে বই পৌঁছে দিতে হবে বার্তা চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এর। বই মানুষের জীবনে একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। জীবনে চলার পথে নতুন প্রজন্মের কাছে বেশি করে বই পৌছে দিতে হবে। কোভিড পিরিয়ডে আমরা সারাদিন সারাক্ষণ একটা যন্ত্রে মধ্যে আবদ্ধ থাকছি। বইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয়ে যাচ্ছে। হাতের লেখা ও খারাপ হচ্ছে। লিখতে তো হচ্ছে না। যন্ত্রে বাটাম টাইপে অক্ষর লিখে দিচ্ছে। বইমেলা থেকে ছোট দের হাতে বেশি করে পৌছে দেওয়া তুলনা চলে না। আরো বেশি করে লিখতে পড়তে সাহায্য করে পরের প্রজন্মের কাছে তুলনা চলে না। অক্ষর ছাড়া আত্মীয় তা তৈরি করা যায় না। ভেঙে গেলে চলে গেল। আত্মীয়তা বহুদিন ধরে থাকে। পাতা ঝুড়ঝুড় করে পড়ে গেল। আত্মীয়তা তো থাকে বই সাহায্য করে।

বাংলা অ আ ক খ আকার ই কার পড়তে হবে। বাংলা বরণপরিচয় না পড়লে জানব কি করে। পৃথিবীতে নতুন নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়লেও বইয়ের কোন গুরুত্ব কমে যাবে না। বইয়ের ভূমিকা মানুষের জীবন থেকে চলে যাবে না। নতুন প্রজন্মের কাছে বেশি করে বই পৌছে দিতে হবে ।বইয়ের কোন বিকল্প হয় না। বই না পড়লে আমাদের তৃপ্তি ও পাওয়া যায় না। শুক্রবার সন্ধ্যায় নববারাকপুর শিক্ষা সংস্কৃতি পরিষদ আয়োজিত প্রথম বর্ষে বইমেলা উদ্বোধনে এসে কথাগুলি বলেন রাজ্যের অর্থ মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। নববারাকপুর পুরসভার ৫নং ওয়ার্ডের মজলিস প্রাঙ্গণে ছয়দিন ব্যাপি বইমেলা র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। মন্ত্রী বলেন নববারাকপুরে একটি এডুকেশন বড় ক্ষেত্র রয়েছে। নববারাকপুরের শিক্ষা সংস্কৃতি নমস্কতায় অনেক এগিয়ে। শিক্ষার ক্ষেত্র কে সমৃদ্ধ করছে। তদের বড় ভূমিকা রয়েছে। শিক্ষা সংস্কৃতি পরিষদের আগামী প্রজন্মের কাছে বইমেলা বেশি করে বই পৌছে দিয়ে এগিয়ে যাবে বলেন মন্ত্রী।

বইয়ের গুরুত্ব কোনদিন কমবে না।মন্ত্রী এদিন সুদৃশ্য মঞ্চে বাংলা শিক্ষক সুমন কুমার গুতাইত এবং কবি কালিদাস ভদ্রে দুটি গ্রন্থ মোড়ক উন্মোচনে করেন।বইমেলা ১১ টি প্রকাশনা সংস্থা ও লিটল ম্যাগাজিন স্টল ও রয়েছে। প্রতিদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উপস্থিত ছিলেন লেখক পৃথ্বীরাজ সেন, নববারাকপুর পুরসভার পুরপ্রধান প্রবীর সাহা, বইমেলার অন্যতম পৃষ্ঠপোষক সমাজসেবী সুখেন মজুমদার, বিশ্ব সেবাশ্রম সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীসমীরেশ্বর, ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি ঘোলা শান্তব্রত চন্দ, নববারাকপুর থানার ওসি বিজয় কুমার ঘোষ সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গন। স্বাগত ভাষন দেন নববারাকপুর শিক্ষা সংস্কৃতি পরিষদের সভাপতি ড.অনিরদ্ধ বিশ্বাস ।শ্রী বিশ্বাস বলেন নববারাকপুরে শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক পরিমন্ডল রয়েছে। নববারাকপুর বইমেলার একটা ইতিহাস আছে। শিক্ষা ও সংস্কৃতি পরিমন্ডল বিস্তারে বিভিন্ন শিক্ষক শিক্ষিকা ও সহশিক্ষক রা বিদ্যালয়ের প্রাক্তনীরা এগিয়ে এসে এক ছাতার তলায় এই বইমেলা র আয়োজন। সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ও সহযোগিতায় এই বইমেলা আগামী দিনে এগিয়ে চলবে। মেলা চলবে ৩০ মার্চ পর্যন্ত। প্রতিদিন দুপুর ৩টে থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত। অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন শিক্ষক অম্লান দাশগুপ্ত।