জেলা এই মুহূর্তে

বিদায় বেলায় মায়ের কাছে আকুতি আবার এসো মা , দশমীর সকাল থেকেই ভিড় চাতরা শীতলা মন্দিরে।


হুগলি, ১৩ মার্চ:- আজ দশমী, মায়ের বিদায়ের পালা। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতেই শ্রীরামপুর চাতরার শীতলা পুজোকে ঘিরে ভক্তদের ঢল নামল। বুধবার মহা সপ্তমীর দিন সকাল থেকেই চাতরার শীতলা মন্দিরে কাতারে কাতারে মানুষের ভিড় জমাতে থাকে।পর পর দু’বছর করোনার কারণে কয়েকশ বছরের পুরনো শীতলা পুজো অনাড়ম্বর ভাবে হলেও এবারে পুজোকে ঘিরে মানুষের মধ্যে উন্মদনা ছিল যথেষ্ঠ। পুজো কে ঘিরে মন্দিরের চারপাশে জমজমাট মেলা আবার শুরু হতেই উৎসাহ বেড়েছে দোকানীদের মধ্যে। পুজো কমিটির সম্পাদক অশোক দাস জানিয়েছেন মঙ্গলবার ষষ্ঠী তিথির মধ্যে দিয়ে শীতলা পুজোর সূচনা হয়। আজ দশমীর দিন পুজো শেষে মায়ের বিসর্জন হলেও সারা বছর মন্দিরে মায়ের নিত্য পুজো হয়। অষ্টমী তিথিতে মায়ের বিগ্রহে জল ঢালা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ধর্মীয় ভাবাবেগ রয়েছে। অষ্টমীর দিন জন্য সকাল থেকেই মন্দির চত্বরে ভিড় জমিয়ে জল ঢালেন নারী পুরুষেরা।

ওই সময় মন্দির ছাপিয়ে জিটি রোড জুড়ে প্রায় এক কিমি রাস্তা জল ঢালার ভিড় থাকে। পুলিশ প্রশাসন রাস্তায় নেমে পরিস্থিতি সামাল দেন। তবে আইন শৃঙখলা রক্ষার জন্য মন্দির কমিটির অফিসে পুলিশের শিবির করা হয়েছে।২৪ ঘন্টা পুলিশ সেখানে মোতায়েন করা হচ্ছে। লাগানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। এ দিন শেওড়াফুলি থেকে পুজো দিতে এসেছিলেন নমিতা গুহ। তিনি বলেন, দু,বছর মায়ের পুজো থমকে ছিল। এখন করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে। তাই পুজো দিতে এসেছি। চাঁপদানী কেন্দ্রের বিধায়ক অরিন্দম গুঁইন বলেন, পাঁচশো বছরের প্রাচীন শীতলা মায়ের পুজো কে ঘিরে মানুষের অনেক ভাবাবেগ রয়েছে। পঞ্চমী থেকে দশমী পর্যন্ত পুজোকে ঘিড়ে লাখো লাখো মানুষের জমায়েত হয়। তারপরেও মানুষ যাতে করোনা বিধি মেনে চলে সেদিকে নজর রাখা হয়েছে। শীতলা পুজো কে ঘিরে মানুষের মনে ধর্মীয় ভাবাবেগ আছে। আমরা মন্দির কমিটি থেকে মাস্ক বিলি করেছি। যারা মাস্ক পড়ছেন না তাদের অনুরোধ করছি। তবে ধর্মীয় উৎসবের পাশাপাশি মেলা চলবে।