জেলা এই মুহূর্তে

বিদ্যুৎ বিল বাঁচাতে সোলার সিস্টেমে হাইমাস লাইট জ্বালাতে উদ্যোগ আরামবাগ প্রশাসনের।


মহেশ্বর চক্রবর্তী, ১০ মার্চ:- বর্তমানে অযোথা বিদ্যুতের ব্যবহার ও অপচয়ের ফলে ভবিষ্যতে বিদ্যুতে ঘাটতি হতে পারে। আগামী প্রজন্মকে বাঁচাতে বিকল্প শক্তির ব্যবহার সহ বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করছে প্রশাসন।অত্যধিক বিদ্যুৎ খরচ বাঁচাতে ও পঞ্চায়েত গুলির ওপর বিদ্যুৎ বিলের ভার কমাতে উদ্যোগ নিলো হুগলি জেলার আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতি। অঞ্চলগুলিতে নতুন করে লাগানো বাতিস্তম্ভগুলিকে সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে সোলার সিস্টেমে আলো জ্বালানোর সিদ্ধান্ত নিলো আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতি। এই বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতিতে গুরুত্বপূর্ণ মিটিং হলো বৃহস্পতিবার। উপস্থিত ছিলেন আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গুনোধর খাঁড়া, কর্মাধ্যক্ষ জগন্নাথ দাস, সুনিল সামন্ত, হুগলি জেলা পরিষদের সদস্য তথা প্রাক্তন সভাপতি শিশির সরকারসহ প্রশাসনের আধিকারিকরা। প্রসঙ্গগত উল্লেখ্য আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির অধীনে ১৫ টি অঞ্চল রয়েছে।

ইতিমধ্যে প্রতিটি পঞ্চায়েত এলাকায় প্রায় দশটি করে হাইমাস লাইট বা বাতিস্তম্ভ লাগানো হয়ে গেছে।সেগুলি প্রচলিত শক্তি হিসাবে বিদ্যুতেই আলো জ্বালানোর হয়। এই সব হাইমাস লাইটগুলির বিদুৎ বিল মেটাতে হয় স্থানীয় পঞ্চায়েতগুলিকে। একদিকে বিদ্যুতের খরচও হচ্ছে ব্যাপক পরিমানে অন্যদিকে স্থানীয় পঞ্চায়েতগুলিকে বিদ্যুতের বিল মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই সবদিক বিবেচনা করে এদিন এই নিয়ে পঞ্চায়েত সমিতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক বৈঠক হয়। এরপর থেকে অঞ্চলগুলিতে যেখানেই হাইমাস লাইট লাগানো হবে সেখানে সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে সোলার সিস্টেমে আলো জ্বালানোর হবে। এতে করে একদিকে যেমন বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে তেমনি অর্থের খরচও কম হবে। বিদ্যুৎ বিলের ভারও পড়বে না পঞ্চায়েত গুলিতে। এই বিষয়ে আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ্য সুনিল সামন্ত জানান, অত্যধিক বিদ্যুতের খরচ বাঁচাতে ও পঞ্চায়েত গুলির ওপর বিদ্যুৎ বিলের ভার কমাতে নতুন করে লাগানো হাইমাস লাইটগুলিকে সোলার সিস্টেমের মাধ্যমে আলো জ্বালানো হবে। এই নিয়ে আমাদের এই প্রশাসনিক বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।