এই মুহূর্তে জেলা

যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে বাড়ি ফিরলেন হুগলির চার পড়ুয়া।


হুগলি, ৪ মার্চ:- যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে ডাক্তারী পড়তে গিয়ে আটকে পড়া ভারতীয় পড়ুয়ারা বাড়ি ফিরছে। ভারতের বায়ুসেনা ইউক্রেনের প্রতিবেশি দেশ রোমানিয়া, হাঙ্গেরি হয়ে পড়ুয়াদের ঘরে ফেরার ব্যবস্থা করেছে। প্রায় কুড়ি হাজার পড়ুয়া যুদ্ধের ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে আটকে পড়েছিলেন। বাংলা থেকেও অকেনে ছিলেন সেখানে। এমন কয়েকজন বাড়ি ফিরে এসেছেন। তাদের সঙ্গে দেখা করতে যান হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। ভদ্রেশ্বরের মৈত্রেয়ী মুখার্জী, চাঁপদানীর মনিষা যাদব, বৈদ্যবাটির পুষ্প চন্দন রায়, চাঁপসারার সৌম্য সাঁতরাদের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি সাংসদ। লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, ইউক্রেনে আটকে পড়া পড়ুয়াদের ফেরাতে কেন্দ্রীয় চারজন মন্ত্রী চারটে দেশে গেছেন।

পড়ুয়াদের ফেরানোর সব রকমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পড়ুয়ারা যেভাবে যুদ্ধের পরিবেশ থেকে ফিরেছে ওরা মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত। পড়ুয়াদের মা বাবার সঙ্গেও কথা বললাম। পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ হবে তবে তার আগে জীবন দেশ। বাংলার পরিকাঠামো এত খারাপ সবাই বাইরে বাইরে পড়াশুনা করতে চাকরি করতে যাচ্ছে। যুদ্ধ শুরু হবার আট দশ দিন আগে দেশে ফিরতে বলা হয়েছিল পড়ুয়াদের। কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রী বলেছিলেন অফিসিয়ালি। তার পরেও যারা ফেরেনি তাদের ফেরানোর ব্যবস্থা করছে দেশ অভিভাবক হিসাবে। পড়ুয়ারা যাতে তাদের পড়াশুনা শেষ করতে পারে তা অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে দেখা হবে। দিল্লীতে এসে পৌঁছেছে যেসব বাংলার পড়ুয়া ভিডিও কল করে তাদের খোঁজ নেন।

বৈদ্যবাটির ডাক্তারী পড়ুয়া পুষ্প চন্দন রায় বলেন, ভারতে সেরকম সুযোগ নেই। প্রতিবছর দেশে প্রায় ষোলো থেকে আঠেরো লাখ পরীক্ষা দেয় চল্লিশ হাজার সিটের জন্য। তাই বাধ্য হয়ে বিদেশে যেতে হয়। ভারতে বেসরকারী কলেজ গুলোতে ডাক্তারী পড়ার খরচ এক কোটি টাকা সেটা ইউক্রেনে ত্রিশ থেকে চল্লিশ লাখ টাকা। চার মাস আগে ইউক্রেনের ইভানো ফ্রাঙ্কিভস ডাক্তারী পড়তে যায়। পশ্চিম ইউক্রেনে সেরকম যুদ্ধের আঁচ না পড়লেও দেশে ফেরার সময় রোমানিয়া বর্ডারে অনেক কষ্ট পোহাতে হয়েছে। তবে রোমানিয়া সরকার পড়ুয়াদের খুব সাহায্য করেছে। আগামী ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা রয়েছে।