এই মুহূর্তে কলকাতা

উচ্চশিক্ষার স্বার্থে সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক গুলিকে ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে থাকার আর্জি মুখ্যমন্ত্রীর।

কলকাতা, ২৪ ফেব্রুয়ারি:- রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষার স্বার্থে বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে আরও বেশি করে পাশে থাকার আর্জি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে উচ্চশিক্ষা দফতর আয়োজিত ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রদান ও ঋণ মঞ্জুরের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এই প্রকল্পে যুক্ত হতে বিভিন্ন ব্যাংককে এগিয়ে আসার আবেদন জানিয়েছেন। এদিন রাজ্যের ২৫ হাজার পড়ুয়াকে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রদানের সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে ৫ হাজার পড়ুয়ার হাতে এই ক্রেডিট কার্ড তুলে দেওয়া হয়। বাকি ২০ হাজার পড়ুয়ার হাতে জেলাগুলিতে এই কার্ড তুলে দেবে জেলা প্রশাসন। এই ২৫ হাজার পড়ুয়া যাতে ঋণ পায় তার জন্য রাজ্য সরকার ১৫৪২ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে বলে এদিন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।

There is no slider selected or the slider was deleted.

রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপ দেশের বৃহত্তম পড়ুয়া ঋণ প্রদানের কর্মসূচী।পড়াশোনার জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের ঋণ মঞ্জুর না করলে রাজ্যের অগ্রগতি এবং উন্নয়ন আসবে না বলে তিনি জানান। উল্লেখ্য গত বছরের তিরিশে জুন চালু হওয়া এই প্রকল্পের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের সহজশর্তে দশ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হয়। বর্তমানে এই সরকারি প্রকল্পটিকে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১৪টি ব্যাংক যুক্ত রয়েছে। এই ঋণের অর্থের গ্যারান্টার সরকার নিজের। ফলে তা মার যাওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। রাজ্যে শিক্ষার উন্নয়নে এগিয়ে আসা বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অডিট রিপোর্ট চেয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। এইদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী পথচারীদের সুরক্ষায় ইএম বাইপাসের চিংড়িঘাটায় প্রায় নয় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ফুট ওভার ব্রিজটির উদ্বোধন করেন।

There is no slider selected or the slider was deleted.

মুখ্যমন্ত্রী ‘অনেকেরই ইচ্ছা থাকে উচ্চশিক্ষার, বিদেশ যাওয়ার। কিন্তু অনেকেই তা পারে না আর্থিক সমস্যার জন্য। সেই সমস্যা যাতে আর তাঁদের উন্নতির পথে কাঁটা হয়ে না দাঁড়ায় তার জন্যই এই স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে। ব্যাঙ্ক থেকেও এই ধরনের ঋণ দেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে অনেক সমস্যা থাকে। যে যে শর্তে ঋণ দেওয়া হয় সেখান থেকে সেই সব শর্ত অনেকেই পূরণ করতে পারেন না। তাই অনেকেই তা পান না। কিন্তু এখানে সেই সব সমস্যা হবে না। কেননা রাজ্য সরকার নিজেই এই টাকা দিচ্ছে। আর আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে যে সব ব্যাঙ্ক ঋণ দিচ্ছে সেই সব ঋণের জন্য রাজ্য সরকারই গ্যারেন্টার থাকছে। তাই জমি বাড়ির দলিল জমা রেখে ঋণ নিতে হবে না। এখানে ১০ লক্ষ টাকা পর্ন্ত ঋণ মিলবে। কেউ ৬০ হাজার টাকাও ঋণ নিয়েছে, কেউ বা ৪ লক্ষ টাকাও নিয়েছে। যার যতটা লাগবে সে ঠিক ততটাই ঋণ নিচ্ছে। অর্থের জন্য কারও উচ্চশিক্ষা আর বাধাপ্রাপ্ত হবে না।’