কলকাতা, ২৩ ফেব্রুয়ারি:- দেউচা পাঁচামি খনি প্রকল্প নিয়ে আরও একধাপ এগলো রাজ্য সরকার। প্রশাসনিক সূত্রে খবর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে সংশোধিত ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন প্যাকেজ ঘোষণার পর ওই প্রকল্প নিয়ে জমিদাতাদের আগ্রহ বেড়েছে। বহু জমিদাতাই খনি প্রকল্পে জমি দিতে নতুন করে আগ্রহ দেখিয়েছেন। এবার এ ধরনের জমিদাতাদের উৎসাহ দিতে বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। প্রতীকী ভাবে দেউচা পাঁচামি প্রকল্পে বেশ কয়েকজন জমিদাতার হাতে ক্ষতিপূরণ ও চাকরির প্যাকেজ তুলে দিয়ে বার্তা দেবেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবারই মোট ২২২ জনকে নবান্নের তরফে এই পুনর্বাসন প্যাকেজ বা নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হবে বলে। নবান্ন সভাঘরে এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের মধ্যে ৫০ জনকে এই সংক্রান্ত কাগজপত্র তুলে দেবেন। বাকি ইচ্ছুক জমিদাতারা বীরভূমের জেলা শাসকের দপ্তর থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সভায় যোগ দেবেন। তাঁদের হাতেও এই একই প্যাকেজ ও নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হবে। বুধবারই শিল্প উন্নয়ন পর্ষদের বৈঠক রয়েছে নবান্নে।
সেই বৈঠকেই দেউচা পাঁচামি প্রকল্পের ইচ্ছুক জমিদাতা দের ক্ষতিপূরণ প্যাকেজ ও চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী।তারাও নিজেদের জমি দানের সম্মতিপত্র তুলে দেবেন। মুখ্যমন্ত্রী চলতি মাসের শেষে দেউচা পাঁচামির প্রস্তাবিত কয়লা খনি এলাকা পরিদর্শন করবেন বলেও খবর প্রশাসনিক সূত্রে। প্রসঙ্গত সোমবারই রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে দেউচা পাঁচামি খনি প্রকল্পের সংশোধিত ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন প্যাকেজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। স্থায়ী বাসিন্দাদের জন্য ক্ষতিপূরণ প্যাকেজ থাকছেই।পাশাপাশি দীর্ঘদিন প্রস্তাবিত খনি এলাকায় বসবাস করছেন অথচ আইনি স্বীকৃতি নেই এমন পরিবার গুলিকেও ক্ষতিপূরণ প্যাকেজের আওতায় আনা হবে জমির দামের চেয়ে দ্বিগুণ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া মন্ত্রিসভার বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বাড়ি তৈরির জন্য পাঁচশোর বদলে সাতশো বর্গফুট জমি দেওয়া হবে। যাঁরা বাড়ি নেবেন না তাঁদের বাড়ি তৈরির অর্থ বাড়িয়ে পাঁচ লক্ষ টাকা থেকে সাত লক্ষ টাকা করা হবে। এ ছাড়া এককালীন দেড় লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। খাদান মালিকদের জন্যও ক্ষতিপূরণের প্যাকেজ দেওয়া হবে। পাশাপাশি যোগ্যতা অনুযায়ী পরিবারের একজন কে কনস্টেবল জুনিয়র কনস্টেবলের চাকরি দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে রাজ্য সরকার।