কলকাতা, ১৭ ফেব্রুয়ারি:- তাজপুরে রাজ্য সরকারের প্রস্তাবিত গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে আগ্রহী দেশের প্রথম সারির দুই শিল্প সংস্থা। বৃহস্পতিবার ওই দুই সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠক করেন মুখ্য সচিব হরি কৃষ্ণ দ্বিবেদী। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, তাজপুর বন্দর নির্মাণে আগ্রহী সংস্থার মধ্যে রয়েছে দেশে বেসরকারি বন্দর পরিচালনার ক্ষেত্রে অগ্রগণ্য সংস্থা আদানি গোষ্ঠী। পাশাপাশি জিন্দাল গোষ্ঠীর তরফেও এই বন্দর নির্মাণে আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে। এই দুই সংস্থার প্রতিনিধিরাই এদিন মুখ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সূত্রের খবর দুই সংস্থার মধ্যে একটিকে বেছে নিয়ে বন্দর তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হবে না গ্লোবাল টেন্ডারের মেয়াদ বাড়িয়ে অন্য সংস্থাকে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেয়া হবে তা নিয়ে দোলাচালে রয়েছে নবান্ন। তাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আগ্রহী সংস্থানগুলি সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও আধুনিক গোষ্ঠীর হাতে তাজপুর
বন্দরের দায়িত্ব তুলে দেওয়ার দিকে পাল্লা ভারী। আদানী পোর্ট এবং স্পেশাল ইকোনমিক জোন এর সিইও(পোর্ট) সুব্রত ত্রিপাঠী এবং এজিএম রাহুল ভাগবত এদিন মুখ্য সচিবের সঙ্গে দীর্ঘক্ষন বৈঠক করেন।এর আগে একাধিকবার আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানি নবান্নে এসে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জরুরি আলোচনা সেরেছেন। সদ্যই আদানি পোর্টের সিইও করণ আদানিও বৈঠক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে।তবে শেষ পর্যন্ত কাকে বন্দর তৈরীর দায়িত্ব দেয়া হবে তা নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এব্যাপারে শেষ কথা বলবেন। উল্লেখ্য তাজপুর বন্দর নির্মাণের জন্য আগ্রহী সংস্থার খোঁজে ডাকা গ্লোবাল টেন্ডার এর মেয়াদ সদ্যই শেষ হয়েছে। এই দুই সংস্থার পাশাপাশি অন্য বেশ কিছু সংস্থা বন্দর নির্মাণে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানা গিয়েছে। রাজ্য সরকারও চায় দ্রুত বিষয়টি চূড়ান্ত করে ফেলতে। তবে তাড়াহুড়ো করে নয়, দীর্ঘমেয়াদী সুফল লাভের স্বার্থে সবথেকে উপযুক্ত সংস্থাকেই বেছে নিতে চায় সরকার।