হুগলি, ১০ ফেব্রুয়ারি:- বন্যার জল বেশ কয়েক মাস আগেই নেমে গেছে। রেখে গেছে ভয়ঙ্কর স্মৃতিচিহ্ন। রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে ঘরবাড়ি ধ্বংসের চিহ্ন রয়েছে আরামবাগ মহকুমার বন্যা দুর্গত এলাকায়। কিন্তু স্থানীয় মানুষের অভিযোগ গোঘাটের বালি অঞ্চলে এখনও রাস্তাঘাট সংস্কার করা হয়নি। স্থানীয় প্রশাসনের উদাসীনতার জন্য গোঘাট এক নম্বর ব্লকের বালি অঞ্চলের আরামবাগ থেকে দামোদরপুর রাস্তার বেশ কয়েকটি জায়গা ভাঙাচোরা অবস্থায় পরে রয়েছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় মানুষের দাবী, স্থানীয় পঞ্চায়েতে বারবার জানানো সত্তেও এই ব্যাপারে কোনও উদ্যোগ গ্রহন করা হয়নি। কোনও এক অজ্ঞাত কারনেই নাকি রাস্তা সংস্কার করা হচ্ছে না। এই নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে এলাকায়।
সরকারি পরিসেবা ঠিক মতো না পৌচ্ছানোর জন্যই শাসক দল পরিচালিত পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিদের জনপ্রিয়তা অনেকটাই কমছে।আর তার ফল ভোগ করতে হচ্ছে শাসক দলকে। অথচ রাজ্য সরকার তার উন্নয়ন মুলক কাজ জনগনের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বারে বারে বার্তা দিচ্ছে। কিন্তু সেই নির্দেশ কতটা কার্যকর হচ্ছে তা আরামবাগ দামোদরপুর রাস্তার বেহাল দশা দেখলেই বোঝা যাবে। উন্নয়নের কাজে বালি অঞ্চল পিছিয়ে পড়ছে কেন? প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা। অথচ রাজ্য সরকার একের পর এক প্রকল্পের মাধ্যমে বন্যা দুর্গত এলাকায় উন্নয়নের কাজে গতি বাড়ানোর জন্য নির্দেশ দেয়। কিন্তু সেই কাজ বাস্তবে হচ্ছে না। এই বিষয়ে তৃনমুল অঞ্চল সভাপতি অনন্ত খান জানান, উন্নয়নের কাজ চলছে। বিরোধীরা কুৎসা ছড়াছে। অপরদিকে গোঘাট এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ তথা ব্লক তৃনমুল কংগ্রেসের সভাপতি নারায়ন চন্দ্র পাঁজা জানান, রাস্তা সংস্কারের জন্য উচ্চ প্রশাসনে পাঠানো হয়েছে। আশা করি দ্রুত কাজ শুরু হবে।সবমিলিয়ে এখন দেখার এলাকার মানুষের স্বার্থ কবে রাস্তা সংস্কার হয়।