এই মুহূর্তে জেলা

সালকিয়ায় দাসবাড়ির পারিবারিক পুজোর থিম ‘ইতিহাস কথা বলে’।

হাওড়া, ৫ ফেব্রুয়ারি:- বাঙালিজীবনে অন্য অনেক পার্বণের মধ্যে সরস্বতী পুজো চিরকালই এক ভিন্ন স্বাদের। সরস্বতী পুজোকে নিয়ে বাঙালিমননে রয়েছে এক চিরায়ত চিরমধুর রোমান্টিকতা। তাই যে কোনও বাঙালিই চান এই পুজোকে নিয়ে মেতে উঠতে, এর স্পর্শ অনুভব করতে। আর তার জন্যই সাধ্য, বিত্ত নির্বিশেষে বাড়িতে বাড়িতে আয়োজিত হয় বাগদেবীর বন্দনা। আর ঠিক এভাবেই হাওড়ার সালকিয়ার দাস পরিবারেও দেবীবন্দনা হয়ে আসছে গত নয় বছর ধরে। বয়সে নবীন হলেও এই বাড়ির পুজো গত কয়েক বছরে দাগ কেটেছে সাধারণ মানুষের মনে। এর প্রধান কারণ হলো এক সাধারণ বাড়ির ছাপোষা পুজো হওয়া সত্ত্বেও এর উপস্থাপনা ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছে স্বতন্ত্র ও বিষয়ভিত্তিক, যা দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়ে নিয়েছে অব্যর্থভাবে।

এই পুজোর মূল উদ্যোক্তা ও ভাবনা যাঁর তিনি তমাল দাস। পেশায় একজন চাকুরিজীবী ও কস্ট আ্যকাউনটেন্ট পড়ুয়া। তাই নিত্য দিনের চাপ সামলেও বাড়ির সদস্যদের নিয়ে এইভাবে একটি অনন্য পুজো বছরের পর বছর দর্শকদের উপহার দেওয়ার ইচ্ছে ও প্রয়াস কুর্নিশের দাবি রেখেছে। এবছরে এদের থিম ইতিহাস কথা বলে। তমালবাবু জানান, ষোড়শ শতাব্দী বা পাঠান মুঘল আমলে মুর্শিদাবাদ জেলায় গড়ে ওঠে বিভিন্ন সৌধ-শিল্প-ইমারত-নিদর্শন। এই সকল পুরাবস্তু নির্মাণে নবাব-বাদশা, রাজা-মহারাজা, জমিদার-ধনবান শ্রেণীর নাম উঠে আসে এবং তার ঐতিহাসিক নির্মাণশৈলী সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারের মধ্যেও পড়ে। আক্ষেপের বিষয় সেগুলি আজ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ভগ্নপ্রায় দশায় এবং এর সাংস্কৃতিক দিকটিও পরবর্তী প্রজন্মের কাছে উপেক্ষিত। বাংলার স্থাপত্যের এই উল্লেখযোগ্য পর্ব কে তুলে ধরতেই আমাদের এই প্রয়াস ‘ইতিহাস কথা বলে’।