এই মুহূর্তে কলকাতা

স্বাধীনতার ৭৫ বছরে আলিপুর সেন্ট্রাল জেল চত্বরে তৈরি হচ্ছে ‘ইন্ডিপেন্ডেন্স মিউজিয়াম।’

কলকাতা, ৩১ জানুয়ারি:- স্বাধীনতার ৭৫ বছরে আলিপুর সেন্ট্রাল জেল চত্বরে তৈরি হচ্ছে ‘ইন্ডিপেন্ডেন্স মিউজিয়াম।’ ব্রিটিশ শাসিত ভারতবর্ষে এই জেলে বন্দী থাকা বীর স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সম্মান জানাতেই এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নে সাংবাদিকদের তিনি জানান, ওই সংগ্রহশালা তৈরীর কাজ চলছে জোর কদমে। আগামী এক মাসের মধ্যেই সংগ্রহশালা তৈরীর কাজ শেষ হবে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন কলকাতার মেয়র তথা পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল এবং রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের চেয়ারপার্সন শুভাপ্রসন্ন কে ওই কাজ সরেজমিনে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন। আমি একটা বলি ওই সংগ্রহশালাকে মানুষের জন্য আরও আকর্ষনীয় এবং দৃষ্টিনন্দন করে তুলতে তাঁরা প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবেন। হেরিটেজ মর্যাদা রক্ষা করে ওই সংগ্রহশালা তৈরির ওপর মুখ্যমন্ত্রী সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছেন।

ওই সংগ্রহশালার সামনের দেওয়াল নয়নাভিরাম রঙে সাজিয়ে তোলার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান বিশিষ্ট শিল্পীদের আঁকা ছবিতে সংশোধনাগারের দেওয়াল সাজিয়ে তোলা হবে। শুভাপ্রসন্ন যোগেন চৌধুরী বিশিষ্ট শিল্পীদের পাশাপাশি সংগ্রহশালার দেওয়াল সাজিয়ে তুলতে তিনি নিজেও তুলি ধরবেন বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। এর জন্য নির্দিষ্ট একটি দিন ধার্য করা হবে। স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম কাণ্ডারি হিসেবে আলিপুর জাজেস কোর্ট রোডের এই লাল বাড়িতেই একসময় ঠাঁই মিলেছিল ঋষি অরবিন্দ ঘোষ, চিত্তরঞ্জন দাশের মতো দেশের বীর সন্তানদের। এখানেই কুঠুরিতে বন্দি ছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। তাঁর বিপ্লবী সত্তার বীজ বপন হয়েছিল এই সংশোধনাগার থেকেই। স্বাধীনতা সংগ্রামী অনন্তহরি মিত্র, প্রমোদরঞ্জন চৌধুরী, দীনেশ গুপ্তের মতো কত শত বন্দিকে ফাঁসির মঞ্চে দেখেছে এই সংশোধনাগার। ভবনগুলির সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনুযায়ী জেলের হেরিটেজ ভবনগুলি, নির্দিষ্ট কারাগারগুলি এবং দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মৃতি বিজড়িত ফাঁসির মঞ্চকে রক্ষা করা হবে। সূত্রের খবর, মূলত তিনভাগে ভাগ করা হবে মিউজিয়মটিকে। শুরুতে থাকবে টিকিট কাউন্টার।