এই মুহূর্তে জেলা

আগামীকাল থেকে শুরু দক্ষিণপাড়ায় ধুমকেতু আয়োজিত সম্প্রীতি উৎসবের।

তরুণ মুখোপাধ্যায়, ২২ জানুয়ারি:- আপনার ছেলের জন্য একটা খেলনা কিনুন তাতে আমার ছেলে খেতে পাবে এই আবেদন জানিয়ে আগামী কাল রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে রিষড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার দক্ষিণপাড়ায় ধূমকেতু আয়োজিত সম্প্রীতি উৎসব। আজ এই মেলার উদ্বোধন এর প্রাক্কালে সাংবাদিকদের একথা জানিয়ে মেলা কমিটির সভাপতি গৌতম চক্রবর্তী এবং কনভেনার অসীতাভ গাঙ্গুলী জানান আমরা গত দু’বছর ধরে এক অসহনীয় জীবন অতিবাহিত করছি। এই সময় মানুষের সুখ শান্তি সব হারিয়ে গেছে আর্থিক অনটনে মানুষ আজ জর্জরিত। ইতিমধ্যে আমরা যে কত প্রিয়জনকেএই মহামারীর থাবায় হারিয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। কাজ হারিয়ে বহু মানুষ সহায় সম্বলহীন। বর্তমানে করোনার ভয়াল রূপ পিছু হটতে শুরু করেছে।

আস্তে আস্তে শুরু হচ্ছে আবার নতুন করে বাঁচার নেশা। করোনার সময় বহু মানুষ সঙ্গে যারা বিভিন্ন মেলা অনুষ্ঠানে দোকানদারি করে সংসার চালাতেন তাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল। তাদের কথা মাথায় রেখে এবং আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপ্রেরণায় শুরু করতে চলেছি সম্প্রীতি উৎসব। স্থানীয় সংস্কৃতি সংস্থা ধূমকেতুর উদ্যোগে রিষড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণপাড়ায় এই মেলা শুরু হচ্ছে নেতাজির জন্মদিন ২৩ শে জানুয়ারি থেকে। চলবে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে তা সম্পূর্ণ বিধি মেনে। মেলা প্রাঙ্গণে রাখা হচ্ছে অক্সিজেন সিলিন্ডার, থার্মাল গান, স্যানিটাইজার গেট সহ সমস্ত ব্যবস্থা। গ্রীন ভলেন্টিয়ারদের স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর পুরো বিষয়টি তত্ত্বাবধানে থাকবেন। মেলার আটদিন মূলমঞ্চে থাকছে নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কলকাতার প্রথিতযশা শিল্পীরা প্রতিদিন অংশ নেবেন সংগীতানুষ্ঠানে। এছাড়াও প্রতিদিন এই মঞ্চে থাকছে নানা বিষয়ের উপর আলোচনা চক্র।

সমাজের বিভিন্ন স্তরের গুনী ব্যক্তিরা অংশ নেবেন সেমিনারে। উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকেআরো থেকে বলা হয়েছে এখানে মোট পঞ্চাশটির মতো স্টল থাকছে। এবং সেগুলির অধিকাংশই খোলা আকাশের নিচে। ফলে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকবে। আর এই মেলায় যারা স্টল দিচ্ছেন তাদের ৯০ শতাংশ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কোনরকম স্টল ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না। এই আপৎকালীন অবস্থা মাথায় রেখে আমরা চাই তাদের ব্যবসা পুনরায় চালু হোক। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার একটা কথা বলেন এই বিপদের দিনে কোনো মানুষ যেন নিজেদের অসহায় না ভাবেন। কোনো মানুষ যেন অভুক্ত না থাকেন। তাঁর সেই নির্দেশ মেনে আমরা এই মেলা অনুষ্ঠিত করছি অসহায় ছোট ব্যাবসায়ীদের জন্য। প্রতিদিন দুপুর থেকে সন্ধ্যা আট টা পর্যন্ত মেলা প্রাঙ্গন খোলা থাকবে। কোনরকম প্রবেশ মূল্য থাকছেন এখানে। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেলা কমিটির সম্পাদক সমীরণ বসু, শ্রীমতি কেতকী দত্ত, ডাক্তার রজত রায় সহ অন্যান্যরা।