এই মুহূর্তে জেলা

নিম্নমানের সামগ্রী দিয়েই তৈরি হচ্ছে নদীবাঁধ , দুর্নীতির অভিযোগ আরামবাগে।

আরামবাগ, ২০ জানুয়ারি:- নদীবাঁধ নির্মানে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠলো হুগলি জেলার আরামবাগ ব্লকের সালেপুরে। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার থেকে শুরু করে বাঁধ নিয়ে ব্যাপক গোলযোগের অভিযোগ উঠলো। বোল্ডার, ঝামা ব্যবহার না করে বড়ো বড়ো মাটির চাঁই ব্যবহার করে তার ওপর সামান্য বালির বস্তা ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে গ্রামবাসিদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়। এই ক্ষোভ কতটা সত্যি তা খতিয়ে দেখতে নদীবাঁধের কাজ দেখতে যান আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, ব্লক প্রশাসনের ইঞ্জিনিয়ার, সেচ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার, কর্মাদক্ষ্য দিপক মাঝি, প্রধান সরস্বতী সরেনসহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা। তাদের কাছেই গ্রামের মানুষ বাঁধ নির্মানে দুর্নীতির কথা তুলে ধরেন। তারও বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্বারকেশ্বর নদীবাঁধ নির্মানে গুনগত মান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সভাপতিসহ ইঞ্জিনিয়ার ও আধিকারিকদের দাবী, নদীবাঁধ সঠিকভাবে নির্মিত হচ্ছে না।

স্থানীয় মানুষের দাবী, বাঁধ নির্মান সঠিক পদ্ধতিতে হচ্ছে না। সামান্য বৃষ্টিতেই নদীবাঁধ ধুয়ে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বর্ষাকালে নদীর জল বাড়লে কি হবে। নদীর বাঁধে কোনও বোন্ডার ঝামা অথবা কালো পাথর ফেলে তার উপর কেন বালির বস্তা দেওয়া হচ্ছে না। কেবল মাটি ফেলে তার উপর সামান্য বালির বস্তা ফেললে বাঁধ তো ধসে যাবে। এই ভাবে নদীর হানা রোধ করা যাবে না। ভয়ংকর বন্যায় সারা গ্রাম জলের তলায় চলে যাবে। বহু মানুষের ক্ষয়ক্ষতি হবে।ফসল থেকে শুরু করে বাড়ি ঘর পড়ে যাবে। তাই নদীবাঁধ বাঁধতে হলে মজবুত ভাবে বাঁধতে হবে। এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা সুশীল মালিক বলেন, নদীবাঁধ বাঁধার কাজ ভালো হচ্ছে না। মাটির ওপর কেট ফেলা হচ্ছে। আবারও বন্যায় বাঁধ ভেঙে যাবে। আমাদের বন্যার মধ্যে দিন কাটাতে হবে।

অপরদিকে আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গুনোধর খাঁড়া বলেন, ২০১৬-১৭ সালেপুরের নদী বাঁধ সংস্কারের জন্য আবেদন করা হয়। সেই মতো টাকা বরাদ্দ হয়ে কাজ শুরু হয়েছে। বর্তমানে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হিসাবে বাঁধ নির্মানের কাজ দেখতে গিয়ে দেখি কাজের গুনগত মান ভালো নয়। সঠিক পদ্ধতিতে কাজ হচ্ছে না। যদি এই ভাবে কাজ হয় তাহলে আমরা উদ্ধতম কর্তৃপক্ষকে জানাবো। অন্যদিকে এই বিষয়ে আরামবাগ সেচ দপ্তরের আধিকারিক দিনবন্ধু ঘোষের সাথে বারে বারে ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। সবমিলিয়ে এদিন আরামবাগের সালেপুর এক নম্বর অঞ্চলের দ্বারকেশ্বর নদী বাঁধ নির্মানে যে দুর্নীতি হচ্ছে তা স্বানীয় মানুষ প্রশাসন আধিকারিকদের জানান এবং সঠিক পদ্ধতিতে বাঁধ নির্মানের দাবী তোলেন।