এই মুহূর্তে জেলা

ভগ্নদশা হুগলি বার এ্যাসোশিয়েশানের , ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন আইনজীবীরা।

হুগলি, ১০ জানুয়ারি:- হুগলি বার এ্যাসোশিয়েশানের ভগ্নদশা, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন আইনজীবীরা। ছাদ খসে অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন কয়েকজন আইনজীবী। বার সংস্কারে জেলা জজের কাছে আবেদন। চুঁচুড়া আদালতের আইনজীবীরা হুগলি বারে বসে তাদের কাজকর্ম সারেন বহুদিন ধরেই। মক্কেলদের সঙ্গে কথা বলেন। মামলার খুঁটিনাটি নিয়ে বারের সিনিয়ার সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি চলে আইনের বই পড়া অথবা কম্পিউটারে তথ্য মিলিয়ে নেওয়া। চুঁচুড়া ঘরির মোরে শতাব্দী প্রাচীন সেই বারেই ঘটে যায় দূর্ঘটনা।

তখন কয়েকজন আইনজীবী তাদের কাজে ব্যাস্ত ছিলেন। সেসম হঠাৎ ভেঙে পরতে থাকে ছাদের চাঙর। ডাচেদের তৈরী প্রাচীন এই ভবনের পেটাই ছাদ থেকে করি বরগা খুলে ঝুলতে থাকে। ইট খসে পরে চেয়ার টেবিল আলমারির মাথায়। শব্দ হতেই সাবধান হয়ে তফাতে সরে যান আইনজীবীরা। করোনা বিধিনিষেধের জন্য আদালতের স্বাভাবিক কাজকর্ম বন্ধ রয়েছে। তাই আগের তুলনায় লোক কম থাকায় বড় বিপদ হয়নি। বড় থান ইট মাথায় পড়লে বিপদ ঘটতে পারত বলছেন আইনজীবীরা। এই ঘটনায় স্বভাবতই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বারের সদস্যরা।

হুগলি বার এ্যাশোশিয়েসানের সভাপতি কৃষ্ণ শঙ্কর বোলেল বারের সদস্য আইন জীবীদের নিয়ে হুগলি জেলা জজের কাছে গিয়ে বার সংস্কারের আবেদন জানান। এদিনের ঘটনার কথাও জানান। জেলা জজ পূর্ত দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারকে ডেকে সংস্কার করে দিতে বলেন। হাইকোর্ট থেকে টাকা বরাদ্দ হলেই কাজ হয়ে হবে বলে জানায় পূর্ত দপ্তর। হুগলি বারের সভাপতি বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয়। বহুদিন ধরেই ভগ্নদশায় রয়েছে ভবনটি। দ্রুত সংস্কার না হলে বড় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। আজ ছাদের চাঙর খসেছে এরপর কোনদিন ছাদটাই ভেঙে পরবে।